'তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় বিজ্ঞাপন'

এভাবেই মাশরাফিকে বিদায় জানালেন সতীর্থরা। ছবি: প্রথম আলো
এভাবেই মাশরাফিকে বিদায় জানালেন সতীর্থরা। ছবি: প্রথম আলো

তামিম ইকবাল তাঁকে কাঁধে তুলে নিলেন। সতীর্থরা ঘিরে ধরলেন মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। খানিক পরে দলের সবাই পরলেন ‘অধিনায়ক আপনাকে ধন্যবাদ’ লেখা জার্সি। এভাবে বিদায় জানানো হলো বাংলাদেশের সফল অধিনায়ককে। বিদায়বেলায় মাশরাফিকে বলা সতীর্থদের শংসাবচন থাকল এখানে—

তামিম ইকবাল
‘তিনি অবিশ্বাস্য! ২০১৪ সালে যখন নেতৃত্বভার নিলেন, ওয়ানডেতে দল হিসেবে আমাদের অবস্থান খুব একটা ভালো ছিল না। ২০১৪ থেকে ২০১৯—তিনি এমন একটা জায়গায় এনেছেন, বিশ্বের যেখানেই যাই খেলতে, সবাই আমাদের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখে। এই পরিবর্তনটা অবিশ্বাস্য! অনেকবার মানুষ আমাকে একাদশ থেকে বাদ দিতে চেয়েছে, তিনি আমাকে সব সময়ই সমর্থন দিয়ে গেছেন। অধিনায়ক হিসেবে তিনি অসাধারণভাবে শেষ করলেন। এখনো তিনি খেলা চালিয়ে যাবেন, তাঁর জন্য শুভকামনা।’

মুশফিকুর রহিম
‘বাংলাদেশ ক্রিকেটে তিনি একজন কিংবদন্তি। অসাধারণ শুধু খেলোয়াড় হিসেবেই নন, মানুষ হিসেবেও। তাঁর জন্য প্রার্থনা, তিনি আরও খেলা চালিয়ে যাবেন। এখনো তিনি যেভাবে বোলিং করেন, অন্তত দুই বছর আরও খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন। তাঁকে অনেক মিস করব। তবে তিনি এখনো বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় বিজ্ঞাপন। তাঁর জন্য শুভকামনা।’

মাহমুদউল্লাহ
‘তিনি আমাদের একজন ভাই, একজন বন্ধু। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য তিনি অনেক করেছেন। আমাদের অনেক সমর্থন করেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অধিনায়ক। আমাদের সুন্দরভাবে এক সুতোয় গেঁথেছেন। যখন তিনি অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন, আমরা খুব একটা ভালো করতে পারছিলাম না। তাঁকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।’

লিটন দাস
‘তাঁর মর্যাদা অনেক ওপরে। তাঁর অধীনে আমার অভিষেক হয়েছিল। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। সব সময়ই আমাকে সমর্থন করে গেছেন। তাঁর মতো অধিনায়ক পাওয়া অনেক বড় ব্যাপার। তাঁকে সব সময়ই মিস করব। মাঠে তিনি যখন থাকেন, তিনি যে এত বড় খেলোয়াড় বোঝা যায় না। অনেক মজা করেন, ভীষণ বন্ধুসুলভ।’