মুশফিকের পর তাইবুরের সেঞ্চুরি, পারলেন না জুনায়েদ

আবাহনীর জয়ের পর। ছবি: শামসুল হক
আবাহনীর জয়ের পর। ছবি: শামসুল হক

বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শুরুর দিনে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড। তবে জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিক ৯৭ রানে আউট হওয়ায় অল্পের জন্য প্রাইম দোলেশ্বরের কাছে হেরেছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মুশফিকের সেঞ্চুরিতে শুরুর বিপর্যয় সত্ত্বেও পারটেক্সের বিপক্ষে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রান তোলে আবাহনী। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিটন দাস ও তরুণ মোহাম্মদ নাঈম আজ রানের খাতাই খুলতে পারেননি। তবে মুশফিকের সেঞ্চুরির সঙ্গে মোসাদ্দেকের ৬১ আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ১৫ বলে ৫ ছক্কায় করা ৩৯ রান আবাহনীর ২৮৯ রানে দারুণ ভূমিকা রাখে। মাত্র দ্বিতীয় লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলতে নামা জয়নুল হোসেন পারটেক্সের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন। ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে পারটেক্স ২০৮ রানের বেশি করতে পারেনি। নাজমুল হোসেন সর্বোচ্চ ৫৩ আর তাসামুল হক করেন ৪৩।

ফতুল্লায় খান সাহেব ওসমান স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স-প্রাইম দোলেশ্বর ম্যাচটি বেশ জমেছিল। প্রথমে ব্যাটিং করে প্রাইম দোলেশ্বরের ২৩৮ রান করে। জবাবে ব্রাদার্সের ইনিংস থামে ২৩০ রানে। প্রাইম দোলেশ্বরের তাইবুর রহমান সেঞ্চুরি করেন। ৯৪ বলে তাঁর ১১০ রানের ইনিংসে ছিল ৭টি বাউন্ডারি ও ৫টি ছক্কার মার।

জবাবে ব্রাদার্স জুনায়েদ সিদ্দিক ও তুষার ইমরানের ব্যাটে সঠিক পথেই ছিল। জুনায়েদ ১২৫ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৯৭ রান করে ফেরেন শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে। খেলার শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্তে শেষ ৩ বলে ৯ রান দরকার ছিল ব্রাদার্সের। সেঞ্চুরি পেতে জুনায়েদের দরকার ৩ রান। ঠিক এমন সময়েই রেজাউর রহমানের বলে এলবিডব্লু  হন এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। ব্যাপার হচ্ছে, শেষ ওভারে কোনো রানই করতে পারেনি ব্রাদার্স। তুষার ইমরান ৬৩ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় করেন ৫১। শেষ পর্যন্ত ৮ রানে হারে ব্রাদার্স।

বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে দিনের অপর ম্যাচে ওল্ড ডিওএইচএস ২৫ রানে হারিয়েছে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জকে। প্রথমে ব্যাটিং করে ডিওএইচএস স্কোরবোর্ডে তোলে ২৩০। জবাবে রূপগঞ্জ গুটিয়ে যায় ২০৫ রানে। ডিওএইচএসের পক্ষে আনিসুর রহমান করেন ৫৯। এ ছাড়ি রাকিন আহমেদের ব্যাট থেকে আসে ৪৮। রূপগঞ্জের পক্ষে মোহাম্মদ শহীদ আর আল-আমিন হোসেন নেন ২টি করে উইকেট।
জবাবে রূপগঞ্জ ২০৫ রানে গুটিয়ে যায় ম্যাচের শেষ বলে। পিনাক ঘোষ করেন ৫৩। সানজামুল ইসলাম করেন ৪০। ডিওএইচএসের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নেন আবদুর রশিদ ও অভিষেক দাস। এ ছাড়া আল ইসলাম ও রকিবুর হাসান নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।