দিনটি তাঁর, মনে করিয়ে দিলেন সানডে

দিনটা অন্য কারও হতে দিলেন না সানডে। ছবি: প্রথম আলো
দিনটা অন্য কারও হতে দিলেন না সানডে। ছবি: প্রথম আলো
>এ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের প্রথম হ্যাটট্রিক সানডে সিজোবা

 আবাহনীতে সানডে সিজোবা বড্ড বেমানান! এবারের এএফসি কাপের বাছাইপর্বে আবাহনীর বিদায়ে সানডেকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কোচ মারিও লেমোস নিজেই। দলের আক্রমণভাগে বড় খুঁত নিয়েই প্রিমিয়ার লিগ শুরু করে আবাহনী। কিন্তু লিগের প্রথম ম্যাচেই পুলিশের বিপক্ষে একটি গোল করেছেন সানডে। এরপর টানা চারটি ম্যাচ চুপচাপ নাইজেরিয়ান এই স্ট্রাইকার। অবশেষে জ্বলে উঠলেন সানডে। আজ সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে প্রিমিয়ার লিগের ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। চারটি গোলই করেছেন সানডে।

গত ৪ মার্চ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের বিপক্ষে ৪-০ গোলে জিতেছিল আবাহনী। ওই ম্যাচেও গোল পাননি সানডে। এ পর্যন্ত লিগের ৬ ম্যাচে আবাহনী প্রতিপক্ষের জালে দিয়েছে ১২টি গোল। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি গোল কারভেন্স বেলফোর্টের। আগের ম্যাচেই চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে খেলতে গিয়ে পায়ের মাংসপেশিতে টান লাগে হাইতির এই ফরোয়ার্ডের। তাই চোটে পড়ে মাঠের বাইরে বেলফোর্ট। আজ বেলফোর্টের অনুপস্থিতিতে দায়িত্বটা নিজের কাঁধে ভালোভাবে তুলে নিয়েছেন সানডে।

ম্যাচের ১৮ মিনিটে এগিয়ে যায় আবাহনী। রায়হানের লম্বা থ্রো থেকে হেডে গোল সানডের। ৩০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। করেন স্ট্রাইকার সানডে। মাঝমাঠ থেকে প্রতি আক্রমণে বল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন মেইলসন। তাঁর পাস থেকে নাবিব নেওয়াজ দূরপাল্লার এক জোরালো শট নেন। বল গিয়ে পড়ে বক্সের মধ্যে দাঁড়ানো সানডের সামনে। মুক্তিযোদ্ধার গোলকিপার রাজীবকে ফাঁকি দিয়ে মুহূর্তেই করেন ২-০।

৩৩ মিনিটেই ৩-০ হতে পারত। কিন্তু মামুনুল ইসলামের বাঁ পায়ের দুর্দান্ত ভলি দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন মুক্তিযোদ্ধার গোলকিপার রাজীব। ৪৯ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সানডে। এবারও বলের জোগানদাতা সেই রায়হান। লম্বা এক থ্রোয়ে বল ফেলেন বক্সের মধ্যে। মাথা ছুঁয়ে সানডে করেছেন ৩-০। গোল শোধে মরিয়া মুক্তিযোদ্ধা ৫২ মিনিটে সফল হয়। আলমগীর মোল্লার ক্রস থেকে চমৎকার হেডে আলবার্ট করেন ৩-১। হ্যাটট্রিক করেও গোলের ক্ষুধা এতটুকু কমেনি সানডের। ৮৬ মিনিটে জোরালো শটে নিজের চতুর্থ গোলটি করেছেন সানডে।