লিভারপুলের জায়গায় 'সিটি থাকলে কেউ পাত্তা দিত না'

লিভারপুল ফুটবল দল। ছবি: এএফপি
লিভারপুল ফুটবল দল। ছবি: এএফপি

করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে স্থগিত করা হয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। এ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ আর মাঠে গড়াবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ আছে। সে ক্ষেত্রে লিভারপুলের কী হবে? তারা ২৫ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে। অনেকের যুক্তি, যে কোনোভাবে এমনকি দেরিতে হলেও এ মৌসুমটা শেষ করা হোক। আর্সেনালের হয়ে দুবার প্রথম বিভাগ জয়ী সাবেক ফরোয়ার্ড পল মার্সন মনে করেন, লিভারপুল জয়ের সুবাস পাচ্ছে বলেই যেকোনোভাবে মৌসুম শেষের কথা বলা হচ্ছে। ম্যানচেস্টার সিটি ২৫ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে থাকে কেউ না কি পাত্তা দিত না!

ইংল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় লিগ সর্বশেষ ৩০ বছর আগে জিতেছে লিভারপুল। এবার হাতে ৯ ম্যাচ রেখে লিগ জয়ের সুবাস পাচ্ছে অলরেডরা। ঠিক এমন সময়ে করোনার থাবায় থেমে গেছে সব। সিনেমার মতো ঘটনা! ঠিক এ কারণেই লিভারপুলের প্রতি সমবেদনাটা বেশি বলে মনে করেন আর্সেনালের হয়ে ৩২৭ ম্যাচ খেলা মার্সন। তবে আগেভাগে লিভারপুলকে শিরোপা তুলে দিলে সেটি ভুল হবে বলেও মনে করেন মার্সন।

টিভিতে ফুটবল পণ্ডিত হিসেবে কাজ করা সাবেক এ ফুটবলার বলেন, ‘ধরুন, সতীর্থের সঙ্গে স্নুকার খেলছি। জিততে আমার ২৫ পয়েন্ট দরকার। তখন সে বলল, খেলা তো শেষ! চালিয়ে যাওয়ার কোনো দরকার নেই। কিন্তু আমি বলছি, জেতার সুযোগ তো আছে!’ মার্সন বুঝিয়েছেন, ২৮ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির এখনো গাণিতিকভাবে লিগ জয়ের সুযোগ আছে।

মার্সন এরপরই সিটির উদাহরণ টানেন। গত ৮ বছরে চারবার লিগ জিতেছে ম্যানচেস্টারের ক্লাবটি। এর মধ্যে গত দুই মৌসুমে জিতেছে টানা দুবার। তারা এ মৌসুমে লিভারপুলের জায়গায় থাকলে কেউ ভাবত না বলেই মনে করেন মার্সন। কারণ সিটি ‘সিরিয়াল উইনার’—জেতাটা অস্বাভাবিক কিছু না। মার্সন বলেন, ‘লিভারপুলের জন্য খারাপ লাগবেই। একটা শিরোপার জন্য ৩০ বছরের অপেক্ষা। সিটি ২৫ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে থাকলে কেউ ভাবত না। কারণ তারা আগেই জিতেছে। এই দলটা ৩০ বছর ধরে জেতেনি। এ যেন সিনেমা। তবে লিগ এখন তুলে দিলেও তারা কিন্তু গাণিতিকভাবে জেতেনি। হ্যাঁ, জয়ের বাকিও নেই, আমরা সবাই তা জানি। কিন্তু এ দুটি বিষয় এক না।’

সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে মৌসুম পুনরায় শুরু করা যায় বলে মনে করেন মার্সন। ইউরো ও চ্যাম্পিয়নস লিগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘ইউরো হচ্ছে না। এটা শতভাগ নিশ্চিত। চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরো স্রেফ বাতিল করা উচিত। এগুলো খেলার দরকার নেই।’