কৌশলে মেসিকে লাথি মারতেন ব্রাজিলিয়ানরা

ব্রাজিলের বিপক্ষে কড়া ট্যাকলের শিকার হতেন মেসি। ছবি: এএফপি
ব্রাজিলের বিপক্ষে কড়া ট্যাকলের শিকার হতেন মেসি। ছবি: এএফপি
>লিওনেল মেসিকে আটকাতে তাঁকে লাথি মারতেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলাররা। এত দিন পর কথাটা জানালেন ব্রাজিলের হয়ে ২২ ম্যাচ খেলা মিডফিল্ডার ফিলিপ মেলো

ছন্দে থাকা লিওনেল মেসিকে আটকানো সম্ভব? এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ঝুলছে এ প্রশ্ন। ডিফেন্ডাররা নানা পদের কৌশল বের করার চেষ্টা করছেন। খুব যে কাজ হচ্ছে তা নয়। তবে উপায় কিন্তু আছে, যদিও তা আইনসিদ্ধ নয়। লাথি! আটকাতে না পারলে কষে লাথি মেরে ছন্দ নষ্ট করো। মেসিকে আটকাতে ব্রাজিল একসময় এই পথেই হেঁটেছে, জানালেন ফিলিপ মেলো।

ব্রাজিলের হয়ে ২০১০ বিশ্বকাপ খেলা মেলো আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ক্লারিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন। ইন্টার মিলান, জুভেন্টাস, গ্যালাতেসারাইয়ে খেলা মিডফিল্ডার ২০১০ সালে সর্বশেষ খেলেছেন দেশের জার্সিতে। এত দিন পর তিনি জানালেন, তখন আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হলে মেসিকে আটকাতে লাথি মারার পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামত ব্রাজিল, ‘সে অনন্য খেলোয়াড়। ব্রাজিলের হয়ে তার মুখোমুখি হলে আমরা বলতাম, আমাদের প্রত্যেককে একবার করে তাকে লাথি মারতে হবে। এটা না করলে তাকে আটকে রাখা ভীষণ কঠিন ছিল। আমরা তাকে বড় আঘাত করতে চাইনি। শুধু ছন্দটা নষ্ট করতে চেয়েছি—কৌশলগত বিষয় আরকি।’

মেসির সঙ্গে রোনালদোর তুলনাও টেনেছেন কড়া ট্যাকলের জন্য মাঝেমধ্যে নিন্দার শিকার হওয়া মেলো। তাঁর মতে, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর চেয়েও এগিয়ে মেসি। ‘মেসি অবিশ্বাস্য, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর চেয়েও ভালো। ক্রিস্টিয়ানো পাঁচ গোল করতে পারে। কিন্তু মেসি নিজে পাঁচ গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়েও করাবে। সে পরিপূর্ণ ফুটবলার।’

পেশাদারি ক্যারিয়ারে ব্রাজিল, স্পেন, ইতালি ও তুরস্কের ঘরোয়া ফুটবলে খেলেছেন ৩৬ বছর বয়সী এ মিডফিল্ডার। একেক জায়গায় রেফারিকে একেকভাবে মাঠের খেলা পরিচালনা করতে দেখেন মেলো, ‘রেফারি সব সময়ই চাপে রাখবে। তবে তারা (জায়গাভেদে) আলাদা। ইংল্যান্ডে লাথি মারলে দর্শকেরা বলে ‘উহ’ কিন্তু রেফারি নির্বিকার থাকেন। কিন্তু স্পেনে লাথি মারলে লাল কার্ড। ব্রাজিলে কেউ ছেড়ে দেয় কেউ আবার লাল কার্ড দেখায়। এ কারণেই কোপা লিবার্তোদোরেস আমার পছন্দ। ব্রাজিলিয়ান রেফারি থাকলে লাল কার্ড দেখাতে পারে, আর্জেন্টাইন হলে সব সময় না।’