৩৬ হাজার কোটি টাকা হারাতে বসেছে ইউরোপের পাঁচ লিগ

>করোনাভাইরাসের কারণে ইউরোপের সব ফুটবল লিগ বন্ধ। পরিস্থিতির অবনতি হলে খেলা যদি আর মাঠে না গড়ায় তাহলে প্রচুর রাজস্ব হারাবে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ ফুটবল লিগ
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। ছবি: টুইটার
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। ছবি: টুইটার

করোনাভাইরাস মহামারি হয়ে ওঠায় ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগ স্থগিত হয়েছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা, ইতালিয়ান সিরি ‘আ’, বুন্দেসলিগা ও লিগ ওয়ান। ইংল্যান্ড, স্পেন, ইতালি, জার্মানি ও ফ্রান্সের লিগগুলো কবে আবার শুরু হবে কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। এর মধ্যে শুরু হয়ে গেছে লোকসানের হিসেব কষাও। মৌসুমের বাকি সময়ে এ পাঁচ লিগ আর মাঠে না গড়ালে আর্থিক ক্ষতিটা কেমন হবে? রাজস্ব হারাতে হবে কত?

ডাচ বহুজাতিক গবেষণা সংস্থা ‘কেপিএমজি’ জানিয়েছে, ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের খেলা এ মৌসুমে আর না গড়ালে বেশ বড় অঙ্কের রাজস্বই হারাতে হবে। সব মিলিয়ে অঙ্কটা ৪.৩৩ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৬ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা)। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই গবেষণা সংস্থা পাঁচটি লিগের বাকি ম্যাচের তারিখ, সম্প্রচার এবং বাণিজ্যিক খাতের সম্ভাব্য রাজস্ব হিসেব করে এ তথ্য জানিয়েছে।

কেপিএমজির হিসেব মতে, সবচেয়ে বেশি রাজস্ব হারাবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। এ মৌসুমে আর খেলা না গড়ালে সব মিলিয়ে ১.২৫ বিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা) রাজস্ব হারাবে প্রিমিয়ার লিগ। এর মধ্যে শুধু সম্প্রচার খাত থেকেই ৮০০ মিলিয়ন ইউরো হারাবে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা) তারা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘লিগের সঙ্গে যেসব সম্প্রচার সংস্থার চুক্তি রয়েছে তারা অর্থ ফেরত চাইতে পারে যদি খেলা আর মাঠে না গড়ায়।’

একইভাবে সম্প্রচার সংস্থার কাছ থেকে ৬০০ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা) হারাতে পারে লা লিগা। আর সিরি ‘আ’ হারাতে পারে ৪৫০ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা)। বুন্দেসলিগা হারাতে পারে ৪০০ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা) ও লিগ ওয়ান ২০০ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা)।

৩০ জুনের মধ্যে ক্লাব মৌসুম শেষ করার কথা উয়েফার। কিন্তু করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে তাতে এ সময়ের মধ্যে ক্লাব মৌসুম শেষ না হওয়ার শঙ্কাই এখন বেশি মনে হচ্ছে।