যৌন হয়রানির দায়ে নিষিদ্ধ টেন্ডুলকার-কপিলদের সতীর্থ

ভয়ংকর সব অভিযোগ উঠেছে বেদাদের বিরুদ্ধে। ফাইল ছবি
ভয়ংকর সব অভিযোগ উঠেছে বেদাদের বিরুদ্ধে। ফাইল ছবি
অধীনস্থ ক্রিকেটারদের বিব্রতকর সব কথা বলে নিগ্রহ করতেন বেদাদে, এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার খুব একটা দীর্ঘ নয়। ১৯৯৪ সালে শুরু হয়েই শেষ। কিন্তু স্বল্প সময়ে ১৩টি ওয়ানডে খেলার মাঝেই সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার, কপিল দেব, মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, অনিল কুম্বলে আর জাভাগাল শ্রীনাথদের। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার লম্বা করতে না পারলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর মারকাটারি ব্যাটিং আকৃষ্ট করত অনেককেই। তবে গতকাল অনেক বড় এক কলঙ্ক যুক্ত হলো তাঁর নামের পাশে।

বরোদা নারী ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন বেদাদে। সেখানেই নিজের দলের খেলোয়াড়দের যৌন হয়রানি করছেন, এমন অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। চারপাশ থেকে আসা অভিযোগের সংখ্যা এতই বেশি যে তদন্তের ঘোষণা দিয়ে তাঁকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বরোদা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ)।

উইজডেনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে হিমাচল প্রদেশে এক টুর্নামেন্ট শেষে বরোদার খেলোয়াড়েরা দলের কর্মকর্তাদের কাছে বেদাদের আচরণ নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। এ কারণেই গতকাল ২১ মার্চ কোচকে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে সাময়িক নিষিদ্ধ করার কথা জানিয়েছে। এ ব্যাপারে বিসিএর সাধারণ সম্পাদক অজিত লেলে বলেছেন, ‘হ্যাঁ, তাকে অনতিবিলম্বে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিসিএর বাইরের একজন নিরপেক্ষ সদস্য নিয়ে গঠিত কমিটির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা চলবে।’

বেদাদেকে লেখা বিসিএর চিঠিতে বলা হয়েছে, অ্যাসোসিয়েশনের ২০ মার্চের মিটিং শেষে অনির্দিষ্টকালের জন্য নারী দলের কোচকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তারা বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছে যা ‘যৌন হয়রানি’ ও ‘প্রকাশ্যে অপমানে’র কাতারে পারে। এর মাঝে ক্রিকেটারদের মাসিক নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা, দলের খেলোয়াড়দের মানসিকতা নষ্ট করার মতো মন্তব্য, মেয়েদের ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে ধমকানো, এক নায়কের মতো আচরণ এবং লিঙ্গবৈষম্য করার মতো ঘটনার উল্লেখ আছে।

বিসিএ জানিয়েছে, তারা সব অভিযোগ লিখিত আকারে গ্রহণ করেছে এবং প্রতিষ্ঠানের যৌন হয়রানির নিয়মানুযায়ী তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো বেদাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।