বেতন কাটা নিয়ে বার্সার সঙ্গে বেধেছে মেসিদের

বেতন কাটা মেনে নিতে পারছেন না মেসিরা। ছবি: এএফপি
বেতন কাটা মেনে নিতে পারছেন না মেসিরা। ছবি: এএফপি
>করোনাভাইরাসের কারণে খেলা বন্ধ থাকার সময়ে খেলোয়াড়দের ৭০ শতাংশ বেতন কেটে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল বার্সা বোর্ড।

বার্সেলোনা আর ঝামেলা শব্দ দুটিকে যেন এখন নিয়মিতই পাশাপাশি দেখা যায়। করোনাভাইরাসও পারল না শব্দ দুটিকে একে অন্যের চেয়ে আলাদা করতে!

প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে সব খেলা স্থগিত, কিন্তু বার্সার বোর্ডের সঙ্গে খেলোয়াড়দের দ্বন্দ্ব চলছেই। এবারের ঝামেলার কারণ - খেলোয়াড়দের বেতন কাটার প্রস্তাব।

করোনাভাইরাস শুধু তো মানুষের প্রাণই সংশয়ে ফেলছে না, অর্থকষ্টেও ফেলতে যাচ্ছে স্বল্প আয়ের মানুষকে। জীবনই যেখানে থমকে গেছে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির দাপটে, জীবিকা তো সেখানে আরও দুষ্কর হওয়ারই কথা। হচ্ছেও। তবে তাতে যে শুধু মানুষই বিপদে পড়ছেন, তা নয়। ইউরোপের ফুটবল ক্লাবগুলোও এ থেকে রেহাই পাচ্ছে না।

দুদিন আগে ফ্রান্সের ক্লাব সেঁত এতিয়েনের সভাপতি বলেছিলেন, এভাবে ছয়-সাড়ে ছয় মাস চললেই ফ্রান্সের বেশির ভাগ ক্লাব দেউলিয়া হয়ে যাবে। স্পেনও ব্যতিক্রম নয়। বার্সেলোনাভিত্তিক স্প্যানিশ দৈনিক স্পোর্ত লিখেছে, অর্থকষ্টে ভোগায় স্পেনের অন্য অনেক ক্লাবের মতো বার্সাও ক্লাবের কর্মচারীদের অস্থায়ীভাবে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিতে পারে। সম্ভাব্য অর্থকষ্ট থেকে রক্ষা পেতে বার্সা বোর্ডের পক্ষ থেকে খেলোয়াড়দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, খেলা স্থগিত থাকার এই সময়ে ৭০ শতাংশ বেতন কম দেওয়া হবে খেলোয়াড়দের।

কিন্তু এ নিয়ে ড্রেসিংরুমে ভিন্নমত পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে স্পোর্ত। খেলোয়াড়দের একটা অংশ বোর্ডের ওপর খ্যাপা। দলের প্রয়োজন নেই, এমন কয়েকজন খেলোয়াড়কেই গত কয়েক বছরে অনেক বেশি দাম দিয়ে, বড় অঙ্কের বেতনে দিয়ে বোর্ড নিয়ে এসেছে বলে মনে করেন ওই খেলোয়াড়েরা। যেটির প্রভাব পড়েছে ক্লাবের আর্থিক সঙ্গতিতে। বোর্ডের সেই অবিমৃশ্যকারিতার মূল্য এখন তাঁদের কেন দিতে হবে, এটাই তাঁদের প্রশ্ন।

অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মতি না জানালেও খেলোয়াড়দের একটা অংশ বেতন কর্তনের প্রস্তাবে রাজি বলে জানিয়েছে স্পোর্ত। আরেক পক্ষ আছে স্প্যানিশ ফুটবলারদের সংগঠনের (এএফই) দিক থেকে আসা সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।

স্প্যানিশ রেডিও কাদেনা কোপে জানিয়েছে, এরই মধ্যে লিগ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে এএফইর। ৩০ জুনের আগে লিগ আবার শুরু করা না গেলে সে ক্ষেত্রে কী করা যায়, এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। তেমন কিছু হলে খেলোয়াড়দের বেতন কাটা হবে ১০ শতাংশ করে।