করোনার সময় মায়ের কাছে ফেরায় নিন্দা

মাদেইরায় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন রোনালদো। ছবি: ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর টুইটার পেজ
মাদেইরায় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন রোনালদো। ছবি: ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর টুইটার পেজ
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ইতালি ছেড়ে পর্তুগালে ফেরার সমালোচনা করেছেন জুভেন্টাসের সাবেক সভাপতি কোবোল্লি গিগি

দানিয়েলে রুগানি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিয়েছিল জুভেন্টাস। গোটা দলকে ‘কোয়ারেন্টিন’-এ (সঙ্গ নিরোধ) পাঠিয়ে দিয়েছিল ইতালিয়ান ক্লাবটি। ইতালিতে তখন করোনার প্রকোপ কেবল বাড়তে শুরু করেছে। এর মধ্যে স্ট্রোকে আক্রান্ত হন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মা ডলোরেস আভেইরো। স্বাভাবিকভাবেই জুভেন্টাস তারকা তখন ইতালিতে থাকবেন কেন? মায়ের পাশে থাকতে ছুটে যান পর্তুগালে, এর সঙ্গে কোয়ারেন্টিনে থাকার ব্যাপারটি তো ছিলই।

পর্তুগালের মাদেইরায় কোয়ারেন্টিনে আছেন রোনালদো, এমন খবর জানিয়েছিল সংবাদমাধ্যম। জুভেন্টাস তাঁকে দেশে ফেরার অনুমতিও দিয়েছিল। কিন্তু এ নিয়ে বিতর্কের ঢেউ তুললেন জুভেন্টাসেরই সাবেক সভাপতি কোবোল্লি গিগি। ইতালিয়ান রেডিও ‘পুন্তো নুয়োভো’কে তিনি বলেন, ‘ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যাওয়ার পর থেকেই জুভেন্টাসে বিষয়গুলো জটিল হয়ে পড়েছে। সে (রোনালদো) বলেছিল পর্তুগালে ফিরছে মায়ের জন্য। কিন্তু সে তো ওখানে শুধু পুলে ছবি তুলছে। এমন কিছু ঘটার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। বাকি খেলোয়াড়েরাও ক্লাব ছেড়ে ফিরতে চেয়েছে। সবাইকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো উচিত ছিল।’

রোনালদোর এ ছবিটি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন তাঁর বোন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
রোনালদোর এ ছবিটি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন তাঁর বোন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

মাদেইরায় ফেরার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোনালদোর বেশ কিছু ছবি দেখা গেছে। দুই দিন আগে রোনালদোর বোন ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেন। রোনালদোর খালি গায়ের ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘ঘরে থেকেই আমরা লড়াই করছি, শরীর ও মন ঠিক রেখে।’ তার আগে সুইমিং পুলের পাশে রোনালদোর খালি গায়ের আরেকটি ছবি দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বেশ কিছু ভক্ত পর্তুগিজ তারকার সে ছবির সমালোচনাও করেছিলেন।

মাদেইরায় নিজের বাড়িতে রোনালদো। ছবি: টুইটার
মাদেইরায় নিজের বাড়িতে রোনালদো। ছবি: টুইটার

জুভেন্টাসের সাবেক সভাপতি আরেকটি বিষয়েও গুরুত্ব দিচ্ছেন। ফুটবলারেরা এই যে ক্লাব ছেড়ে পরিবার কিংবা অন্য কোথাও সময় কাটাচ্ছেন তাতে একটি অসুবিধাও দেখছেন কোবোল্লি, ‘সমালোচনা করা সহজ। তবে বাইরে থেকে দেখে একটি বিষয় বুঝতে পারছি না—কিছু খেলোয়াড় কেন ইতালি ছাড়তে চেয়েছিল। ফেরার পর ছন্দে থাকা তাদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। ভুলে গেলে চলবে না কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে ১৪ দিন।’