ঘর থেকে বের হলেই চালান এই স্টেডিয়ামে

এ মাঠ এখন নিয়ম ভাঙা নাগরিকদের ‘কারাগার’। ফাইল ছবি
এ মাঠ এখন নিয়ম ভাঙা নাগরিকদের ‘কারাগার’। ফাইল ছবি

বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনের কী মনে আছে চণ্ডীগড়ের সেক্টর-১৬ স্টেডিয়ামের কথা? এ মাঠেই যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশকে প্রথম নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বাংলাদেশকে যে দুটি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মিনহাজুল তার একটি এ মাঠেই।

ফারুক আহমেদই-বা ভোলেন কীভাবে এ মাঠকে? ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর ভারতের বিপক্ষে এ মাঠেই খেলেছিলেন ৫৭ রানের ইনিংস। এই মাঠেই ভারতের মাটিতে প্রথম ওয়ানডে খেলেছিল বাংলাদেশ। করোনার এই সময় এ মাঠটিকেই বানানো হয়েছে লকডাউন ভাঙা ‘অপরাধী’দের কারাগার!

চণ্ডীগড়ের এ স্টেডিয়ামে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০০৭ সালে। মাঠটি বাংলাদেশের একটা প্রজন্মের ক্রিকেটারদের কাছে স্মরণীয় হলেও ভারতের অনেক ক্রিকেটারের কাছেই নিজেদের বেড়ে ওঠার স্মৃতি বিজড়িত। এ মাঠে খেলেই কিংবদন্তি কপিল দেব। এ মাঠ ক্রিকেটার বানিয়েছে যুবরাজ সিং, হরভজন সিংদের। নব্বইয়ের পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মোহালির নতুন স্টেডিয়ামে চলে যাওয়ার পর এর গুরুত্ব অনেকটাই কমে যায়।

ভারতে এ মুহূর্তে চলছে ২১ দিনের লক ডাউন। এই দিনগুলিতে মানুষ যেন বাড়িতে থাকে, সেটাই কড়াকড়িভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য সরকার। এর মধ্যেও আইন অমান্যের অনেক ঘটনা ঘটেছে। পাঞ্জাবে লক ডাউন আইন অমান্য করলে তাঁদের ধরে এনে সেক্টর-১৬ স্টেডিয়ামেই আটকে রাখা হচ্ছে।

পাঞ্জাবে লক ডাউন না মানলে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে অমান্যকারীকে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারা অনুযায়ী প্রাথমিক প্রতিবেদন দিয়ে তাঁকে সেক্টর-১৬ স্টেডিয়ামে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।