করোনায় নিজের 'শেষ' দেখছেন না অ্যান্ডারসন

>ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় এসে করোনাভাইরাসের কাছে হার মানতে চান না ইংলিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসন
করোনাভাইরাস আতঙ্কে খেলা বন্ধ। বই পড়ে সময় কাটছে জেমস অ্যান্ডারসনের। ছবি: জেমস অ্যান্ডারসনের টুইটার অ্যাকাউন্ট
করোনাভাইরাস আতঙ্কে খেলা বন্ধ। বই পড়ে সময় কাটছে জেমস অ্যান্ডারসনের। ছবি: জেমস অ্যান্ডারসনের টুইটার অ্যাকাউন্ট

চোটের সঙ্গে গত এক বছর ধরেই লড়ছেন ইংলিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসন। পায়ের পেশির চোট থেকে সুস্থ হয়ে ২০১৯ অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন অ্যান্ডারসন। কিন্তু বার্মিংহাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে চার ওভার বল করেই আবার চোটে পড়েন।

এরপর ক্রিকেটে ফিরছেন ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দুটি টেস্ট খেলেছেন। কেপটাউন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন। এরপর শ্রীলঙ্কা সফরে আরও দুটি টেস্ট খেলার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণে কারণে সিরিজ স্থগিত করা হয়। আগামী জুনের শুরুতে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট খেলার কথা ইংল্যান্ডের। করোনাভাইরাস বড় এক প্রশ্নবোধক চিহ্ন বসিয়েছে সেই সিরিজের পাশেও।

অথচ অ্যান্ডারসন ছিলেন এই ইংলিশ গ্রীষ্মের অপেক্ষায়। টেস্টে প্রথম পেসার হিসেবে ৬০০ উইকেটের মাইলফলক থেকে মাত্র ১৬ উইকেট দূরে অ্যান্ডারসন। এবারই রেকর্ডটা ছুঁয়ে ফেলতে পারতেন। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, রেকর্ড গড়েই অবসরে যাবেন ৩৭ বছর বয়সী এই ইংলিশ কিংবদন্তি। কিন্তু করোনাভাইরাস সবই ভেস্তে দিল। ইংলিশ সংবাদমাধ্যমের ধারণা, মাঠ থেকে আর অবসর নেওয়া হবে না অ্যান্ডারসনের।

কিন্তু অ্যান্ডারসন নাছোড়বান্দা। করোনাভাইরাসকে তাঁর বর্ণিল ক্যারিয়ার শেষ করে দেবে, এটা মানতে রাজি নন তিনি, ‘আমি আর কখনই খেলব না, এই চিন্তা আমার মাথায় আসেনি। আমি আবার খেলব, কোনো না কোনো সময় খেলবই। আমি এখনো ক্ষুধার্ত। ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার ইচ্ছা এখনো আছে। আবার যখন খেলার সুযোগ পাব, আমি প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতে চাই।’