দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম?

এ বছর বাতিল হয়ে যেতে পারে উইম্বলডন। ছবি: এএফপি
এ বছর বাতিল হয়ে যেতে পারে উইম্বলডন। ছবি: এএফপি

অলিম্পিক পিছিয়ে গেছে এক বছর, পিছিয়ে গেছে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ, কোপা আমেরিকা ফুটবল। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সারা দুনিয়াতে মারা গেছে ৪০ হাজারের মতো মানুষ। কঠিন এ সময় খেলাধুলাকে বড় গৌণ বিষয়ই মনে হচ্ছে। সারা দুনিয়ার প্রায় সব খেলা করোনার আক্রমণে যখন থমকে গেছে, তখন টেনিসের ‘বিশ্বকাপ’ উইম্বলডনই বা হয় কি করে! আগামী ২৯ জুন থেকে লন্ডনে শুরু হতে যাওয়া টেনিসের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্টটি খুব সম্ভবত বাতিলই হতে যাচ্ছে। এ বছর যদি এটি না হয়, তাহলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এ প্রথম টেনিস দুনিয়া এমন কিছু দেখবে।

করোনাভাইরাসের আতঙ্কে কাঁপছে ইংল্যান্ডও। চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি বা স্পেনের মতো সংক্রমণের ভয়াবহতা ইংল্যান্ডে অতটা না হলেও কম নয়। এ সময় উইম্বলডন টেনিস স্থগিত বা বাতিল হওয়াটাই প্রত্যাশিত। মঙ্গলবার এ ব্যাপারে টেনিসের শীর্ষ কর্তারা এক সভায় বসেছিলেন। সেখানে এ বছর উইম্বলডন আপাতত না করার পক্ষেই নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।

আয়োজকেরা এর আগে অল দর্শকশূন্য অবস্থায় উইম্বলডন করা যায় কিনা, এমন একটা সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছিল। কিন্তু এর বিপক্ষেই মত এসেছে বেশির ভাগের। তবে তিনবারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন সাবেক জার্মান টেনিস তারকা বরিস বেকার উইম্বলডনের ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অপেক্ষার আবেদন জানিয়েছেন, ‘আমি সত্যিই মনে করি এপ্রিল মাস শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত উইম্বলডনের ব্যাপারে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। ধৈর্যের ফল মধুর হয়, এটা আমরা সবাই জানি।’

তবে ২০০৬ সালে উইম্বলডন বিজয়ী নারী টেনিস তারকা এমিলি মাউরেসমো এ বছর উইম্বলডন বাতিল করারই পক্ষে, ‘আমার মনে হয় আমাদের সবার ২০২০ উইম্বলডন নিয়ে চূড়ান্ত একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা উচিত।’