রোনালদোর হোটেলে থাকতে কত দিতে হবে আপনাকে?

রোনালদোর মতো জীবন যাপনের স্বাদ পাওয়ার আশ্বাস দেয় তাঁর হোটেল। ছবি: পেস্তানা সিআরসেভেন
রোনালদোর মতো জীবন যাপনের স্বাদ পাওয়ার আশ্বাস দেয় তাঁর হোটেল। ছবি: পেস্তানা সিআরসেভেন

তারকাদের কাছে কে না যেতে চায়? প্রিয় তারকাদের কাছ থেকে দেখার, তাঁদের সান্নিধ্য পাওয়ার চেষ্টা সব সময়ই দেখা গেছে। আর তারকাদের কাছ থেকে দেখার সবচেয়ে ভালো উপায় তাঁদের ঘরে ঢুঁ মারা। কিন্তু সে সুযোগ যে কদাচিৎ মেলে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো একবার ভিডিও করে দেখিয়েছিলেন বটে। আর এখন তো সুযোগ এসেই গেছে রোনালদোর ঘরে না হোক, তাঁর হোটেলে থেকে দুধের সাধ ঘোলে মেটানোর।

২০১৭ সালেই আবাসন শিল্পে নাম লিখিয়েছেন রোনালদো। পেস্তানা হোটেল গ্রুপের সঙ্গে অংশীদারি ব্যবসায় নেমেছেন রোনালদো। পর্তুগালের অন্যতম বড় আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন একনামে হোটেল চালু করেছেন, পেস্তানা সিআরসেভেন।

বর্তমানে পেস্তানা সিআরসেভেন নামে দুটি হোটেল চালু আছে। আপাতত দেশেই ব্যবসা করার পক্ষপাতী রোনালদো। ভবিষ্যতে মাদ্রিদ, নিউইয়র্ক, প্যারিস, এবং ম্যানচেস্টারেও হোটেলের শাখা খোলার ইচ্ছা আছে রোনালদোর।

লিসবন ও ফুনচালে চালু হওয়া হোটেলের ব্যাপারে মাঝে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল যে করোনা ভাইরাসের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিনয়ের সঙ্গেই সে খবর উড়িয়ে দিয়েছে পেস্তানা সিআরসেভেন কর্তৃপক্ষ। তাই কোনোভাবে লিসবন বা ফুনচালে কোনো হাজির হতে পারলে, রোনালদোর হোটেলে চাইলে এই করোনাকালেও থাকা সম্ভব।

পৌঁছানো তো হলোই, এবার থাকার প্রসঙ্গ। রোনালদোর দুই হোটেলে এক রাত থাকার জন্য সর্বনিম্ন ১৫০ ইউরো (প্রায় ১৪ হাজার টাকা) থেকে ৩০০ ইউরো খরচ করতে হয়। বছরের বিভিন্ন সময়ে হোটেলের রুমের ভাড়া ওঠানামা করে। এ ছাড়া আগে বুকিং করলেও পাওয়া যায় বিভিন্ন ছাড়। তবে যদি একটু ভালোভাবে থাকতে চান এবং পেস্তানা সিআর সেভেন হোটেলের প্রকৃত স্বাদ পেতে চান, সে ক্ষেত্রে এক রাতে এক হাজার ইউরোপ খরচ করতে হতে পারে। অর্থাৎ এক রাতের জন্য ৯২ হাজার টাকারও বেশি।