বাড়ির জন্য প্রাণ কাঁদে

চাইনিজ সুপার লিগের দল শেনঝেন এফসির কোচ ইতালির সাবেক মিডফিল্ডার রবার্তো ডোনাডোনি। ফাইল ছবি (রয়টার্স)
চাইনিজ সুপার লিগের দল শেনঝেন এফসির কোচ ইতালির সাবেক মিডফিল্ডার রবার্তো ডোনাডোনি। ফাইল ছবি (রয়টার্স)
>রবার্তো ডোনাডোনি এখন আছেন চীনে। আর তাঁর পরিবারের সদস্যরা আছেন ইতালিতে

কী এক কঠিন সময়ই না পার করছে বিশ্ব। করোনাভাইরাস মহামারি ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হচ্ছে। আবার নিজেদের রাখতে হবে ঘরবন্দী করে। এমন সময়ে কারও মনই ভালো থাকার কথা নয়। কাজের কারণে যাঁরা পরিবারের সদস্যদের রেখে বিদেশ বিভুঁইয়ে আছেন, তাাঁদের তো নয়ই।

এই যেমন ইতালির সাবেক মিডফিল্ডার রবার্তো ডোনাডোনির কথাই ধরুন না, করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনে রয়েছেন তিনি। চাইনিজ সুপার লিগের দল শেনঝেন এফসির কোচ ডোনাডুনি। আর তাঁর পরিবারের সদস্যরা এখন আছেন ইতালির বারগামোতে। ইতালিতে করোনার সংক্রমণ এই শহরটিতেই সবচেয়ে বেশি।

নিজে আছেন চীনে, পরিবার বারগামোতে। সব মিলিয়ে মনটা একদমই ভালো নেই ডোনাডুনির। বাড়ির জন্য, পরিবারের সদস্যদের জন্য মনটা তাঁর কাঁদে, ‘আমি বারগামো থেকে এসেছি। এখন সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতিতে থাকা শহরগুলোর একটি এটা। আমার পরিবারের সদস্যরা সেখানেই আছে। আমার জন্য সময়টা খু-উ-ব কঠিন।’

৫৬ বছর বয়সী ডোনাডোনির নিকট আত্মীয়ের কেউ এখনো করোনার কবলে পড়েননি। কিন্তু তারপরও দূরে বসে পরিবারের সদস্যদের জন্য দুশ্চিন্তা তো হয়ই। এসি মিলানের হয়ে তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী এ ইতালীয় তারকা ফুটবলার বললেন, ‘প্রতিদিন সকালে আমি ঘুম থেকে উঠে আমার মা, ভাই আর বোনকে দেখতাম। এখনো আমি পরিবারের লোকেদের ফেইসটাইম বা স্কাইপে বা উইচ্যাটে দেখতে পারি। তবে এটা অন্য রকম। আপনি যখন পরিবারের সঙ্গে থাকবেন, তখন এক রকম ব্যাপার। আর পরিবারের থেকে ১০ হাজার কিলোমিটার দূরে থাকাটা অন্যরকম।