লারার চোখে এটাই টেন্ডুলকারের সেরা ইনিংস

শচীন টেন্ডুলকার। ছবি: টুইটার
শচীন টেন্ডুলকার। ছবি: টুইটার
>বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান হওয়ার দৌড়ে এক সময় প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতো দুজনের মধ্যে। সেই দুজনের একজন ব্রায়ান লারা এবার বেছে নিলেন ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ শচীন টেন্ডুলকারের সেরা ইনিংস

করোনাভাইরাসের কারণে থমকে আছে ক্রীড়াঙ্গন। খেলা-টেলা বাদ দিয়ে সবাই এখন ঘরে ঢুকে প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া। আর করোনার বিস্তার থেকে নিজেকে বাঁচাতে অনন্য এক উপায়ের কথা বাতলে দিলেন সাবেক কিংবদন্তি ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান ব্রায়ান লারা।

কী সেই উপায়? এক সময়ের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী শচীন টেন্ডুলকারের একটা অসাধারণ টেস্ট ইনিংসের ক্লিপ শেয়ার করেছেন লারা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে। ক্যাপশনে লিখেছেন, করোনাভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে টেন্ডুলকারের এই অসাধারণ ইনিংসটির মতো নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে হবে। লারার চোখে টেন্ডুলকারের সেরা ইনিংস এটাই।

সেটা কোন ইনিংস? ২০০৩-০৪ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফর করেছিলেন শচীন-সৌরভরা। ‘বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি’ ধরে রাখার সে লড়াইয়ে ছিল চারটি টেস্টও। সিডনিতে অনুষ্ঠিত হওয়া শেষ টেস্টে অপরাজিত ২৪১ রান করেছিলেন টেন্ডুলকার। লারার চোখে সেরা এই ইনিংসটাই।

তখন শচীনের টেস্ট ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর এটাই ছিল। কিন্তু ইনিংসটার মাহাত্ম্য এখানেই শেষ নয়। গোটা সিরিজে রান না পাওয়া টেন্ডুলকার এই টেস্টে রান করতে মরিয়া ছিলেন। সিরিজে আগের ইনিংসগুলোয় অফ স্টাম্পের ওপর ডেলিভারি সেভাবে খেলতে পারছিলেন না। এ নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছিল বেশ। টেন্ডুলকার তাই কভার ড্রাইভ ছাড়াই মহাকাব্যিক সেই ইনিংস খেলেছিলেন।

গোটা ইনিংসে একটিও কভার ড্রাইভ মারেননি শচীন, যেটা তাঁর অন্যতম পছন্দের একটা শট। শচীনের শৃঙ্খলা ও একাগ্রতার অনুপম নিদর্শন ছিল সেই ইনিংসটা। করোনাভাইরাসের কবল থেকে রক্ষা পেতে এমন শৃঙ্খলাবদ্ধ ও নিয়মানুবর্তী জীবন যাপন করার আহ্বান জানিয়েছেন ব্রায়ান লারা। এককালে নিজের প্রবল প্রতিপক্ষকে প্রশংসায় ভাসিয়ে লারা ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘শচীনের ক্যারিয়ার অসাধারণ। ক্যারিয়ার জুড়েই দুর্দান্ত সব ইনিংস খেলেছে সে। কিন্তু সিডনিতে ওর ওই ২৪১ রানের ইনিংসটার চেয়ে বেশি একাগ্রতা ও শৃঙ্খলা আমি অন্য কোনো ইনিংসে দেখিনি।’

সেই ইনিংসে ৪৩৬ বলে ২৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন শচীন। দুর্দান্ত সেই ইনিংসের সুবাদে সাত উইকেটে ৭০৫ তুলে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেছিল ভারত। ড্র হয় সেই টেস্ট। সিরিজে ১-১ ড্র করে ট্রফিটাও নিজেদের কাছে রেখে দেয় ভারত, কারণ আগের আসরে শিরোপাটা তারাই জিতেছিল।