তিনি ঘুমাচ্ছেন দেরিতে, উঠছেনও দেরিতে

ক্রিকেটার হওয়ার আগে যুজবেন্দ্র চাহাল ছিলেন দুর্দান্ত দাবাড়ু। ছবি: এএফপি
ক্রিকেটার হওয়ার আগে যুজবেন্দ্র চাহাল ছিলেন দুর্দান্ত দাবাড়ু। ছবি: এএফপি

করোনাভাইরাসের কারণে সব খেলা স্থগিত। খেলোয়াড়েরা এখন ঘরবন্দী। যুজবেন্দ্র চাহালেরও অলস সময় কাটছে ঘরে। হাতে যেহেতু অফুরন্ত সময়, ক্রিকেটীয় কোনো ব্যস্ততা নেই, তাই নেই ভোরে ওঠা কিংবা রাতে দ্রুত ঘুমিয়ে যাওয়ার তাড়া। এই সুযোগে ইচ্ছে মতো ঘুম কিংবা ইচ্ছে মতো রাত জাগছেন ভারতীয় লেগ স্পিনার।

করোনার এই দিনগুলোয় কীভাবে সময় কাটছে, সেটি ভারতীয় একটি পত্রিকাকে বলছিলেন চাহাল, ‘পরিবারের সঙ্গে খুব একটা সময় কাটানো হয় না। অনেক বছর পর লম্বা সময় বাড়িতে কাটছে। এটা ভালো ও নতুন এক অভিজ্ঞতা। বাড়িতে আমি ঘুমাতে যাই দেরিতে। উঠিও দেরিতে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো হয় আসলে সন্ধ্যায়।’

করোনাকালে গৃহবন্দী সময়টা কাটাতে দাবা, ক্যারাম খেলে সময় কাটাচ্ছেন অনেক খেলোয়াড়। এ ক্ষেত্রে চাহালের একটা সুবিধা, দাবাটা খেলেন দুর্দান্ত। ক্রিকেটার না হলে তিনি হতে পারতেন বড় দাবাড়ুও। অনূর্ধ্ব-১২ জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। বিশ্ব যুব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার কীর্তিও আছে তাঁর। হতে পারতেন বড় দাবাড়ু, কিন্তু সে পথে না গিয়ে হয়েছেন ক্রিকেটার। ভারতীয় জার্সিতে খেলে ফেলেছেন ৫২ ওয়ানডে ও ৪২ টি-টোয়েন্টি।

দাবা ছেড়ে ক্রিকেটার হওয়ার সিদ্ধান্ত যে মোটেও ভুল হয়নি, সে চাহালের পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে। কিন্তু প্রিয় দাবা ছেড়ে তিনি ক্রিকেটার হলেন কেন? ‘দাবা কিংবা ক্রিকেট যেকোনো একটা বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল আমার। বাবার সঙ্গে কথা বললাম। তিনি বললেন, তোমার ইচ্ছে। ক্রিকেটেই আমার আগ্রহটা বেশি ছিল। এ কারণে ক্রিকেটই বেছে নিয়েছি’ বলছিলেন চাহাল।

খেলা ভিন্ন হলেও চাহালকে দাবা ভীষণ উপকারই করেছে ভালো ক্রিকেটার হতে, ‘দাবা আমাকে ধৈর্য ধরতে শিখিয়েছে। ক্রিকেটে অনেক সময় ভালো বোলিং করেও উইকেট পাওয়া যায় না। টেস্ট ম্যাচে পুরো দিন ভালো বোলিং করলেন কিন্তু উইকেট পেলেন না। পরের দিন আপনাকে আবার ফিরে আসতে হবে। কাজেই আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। এখানেই দাবা আমাকে অনেক সহায়তা করে। ধৈর্য ধরা শিখেছি। এভাবে ব্যাটসম্যানকে আউট করতে পারি।’