'আইপিএলের কথা ভেবে কোহলিকে কেউ ছাড় দেয়নি'

২০১৮-১৯ মৌসুমে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে কৌশলগত কারণেই কোহলিকে স্লেজিং করেনি অস্ট্রেলিয়া! ফাইল ছবি
২০১৮-১৯ মৌসুমে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে কৌশলগত কারণেই কোহলিকে স্লেজিং করেনি অস্ট্রেলিয়া! ফাইল ছবি
>দুদিন আগে মাইকেল ক্লার্ক বলেছিলেন, আইপিএলের খেলার কথা মাথায় রেখেই ২০১৮-১৯ মৌসুমে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় কোহলিদের তেমন স্লেজিং করেননি অস্ট্রেলিয়ানরা। সেটির জবাব দিয়েছেন টিম পেইন।

বড় বোমাই ফাটিয়েছেন মাইকেল ক্লার্ক। ২০১৮-১৯ মৌসুমে নিজেদের মাটিতে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ভারতের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। ক্লার্কের চোখে, আইপিএলের কারণেই সে সিরিজে বিরাট কোহলিদের খুব বেশি স্লেজিং করেননি অস্ট্রেলিয়ানরা। কোহলিদের খেপালে আইপিএলে দল আর মোটা অঙ্ক পাওয়ার সম্ভাবনা কমতে পারে, এটিই টিম পেইন ও তাঁর দলের ক্রিকেটারদের মনে কাজ করেছে, এমনটাই ভাবনা ক্লার্কের।

এমন গুরুতর একটা অভিযোগ কীভাবে বসে বসে হজম করেন পেইন? স্মিথ-ওয়ার্নারদের নিষেধাজ্ঞার পর অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া পেইনের জবাব, আইপিএলের কথা ভেবে কেউই কোহলিকে ছাড় দেয়নি! বরং কোহলিকে স্লেজিং না করাটা নাকি কৌশলগত সিদ্ধান্ত ছিল!

‘বিরাটের (কোহলি) বিপক্ষে মাঠে খুব একটা সৌজন্যমূলক আচরণ করতে তো তেমন কাউকে দেখিনি। ওকে আউট না করার চেষ্টা বা তেমন কিছুও কেউ করেনি। আমার তো মনে হয়েছে যাঁর হাতেই বল ছিল, কিংবা যে-ই ব্যাট হাতে নেমেছে, সে-ই অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচ জেতানোর জন্য যা যা করা দরকার, সবটুকু দিয়ে তা-ই করার চেষ্টা করেছে’—ক্রিকইনফোতে বলেছেন পেইন। কোহলিকে কিছু বলে খেপানোর চেষ্টা কেন করেননি, সেটির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, ‘আমি জানি না কে ওকে ছাড় দিয়েছে! হ্যাঁ, আমরা ঠিক করে নিয়েছিলাম যে ওকে খেপাব না, কারণ আমাদের মনে হয়েছে খেপলেই ও সবচেয়ে বেশি ভয়ংকর।’

করোনাভাইরাস শেষ পর্যন্ত সূচির কী অবস্থা করে রাখে কে জানে, তবে সূচি অনুযায়ী এই বছরের অক্টোবর থেকে আগামী জানুয়ারির মধ্যে চার টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাবে ভারত। সম্ভাব্য সেই সিরিজ নিয়ে আলোচনায়ও পেইন ফিরে গেলেন আগের সিরিজে, ‘এই সিরিজে কী হবে কে জানে। (আগের সিরিজের) প্রামাণ্যচিত্রে যা দেখলাম, ম্যাচগুলো অনেক আগুনে ছিল। আমি যা মনে এসেছে বলে ফেলেছি, এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি। আর আমার জন্য এই মুহূর্তে আইপিএল তেমন বড় কোনো সুযোগ নয়, তাই আমার কিছু হারানোরও ছিল না।’

সে তো গেল নিজের কথা, দলের অন্যদের নিয়ে ৩৫ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের কথা, ‘যখনই কেউ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামে, নিজের সবটুকু নিংড়েই দেয় মাঠে। আমি পুরোপুরি নিশ্চিত বিরাটের বিপক্ষে বল করতে যাওয়ার সময় বা দৌড়ানোর সময় কেউ আইপিএল নিয়ে ভাবেনি।’