মিয়াঁদাদের কলিজা এতটাই বড় ছিল...

জাভেদ মিয়াঁদাদ। ছবি : এএফপি
জাভেদ মিয়াঁদাদ। ছবি : এএফপি
>

জাভেদ মিয়াঁদাদের সাহসিকতা নিয়ে অনেক সময় অনেক কাহিনিই শোনা যায়। এবার পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম উল হকের কল্যাণে আরেকটা কাহিনিও শোনা গেল

জাভেদ মিয়াঁদাদের কলিজা সব সময়ই বড়। বুক চিতিয়ে লড়াইয়ের জন্য আলাদা খ্যাতি কুড়িয়েছেন পাকিস্তান কিংবদন্তি। ইনজামাম-উল-হক তাঁর এমন এক ঘটনাই ভাগ করে নিলেন নিজের ইউটিউব চ্যানেলে।

পাকিস্তানের সাবেকেরা ইউটিউবে মজেছেন বেশ আগেই। ক্রিকেট নিয়ে নানা বিশ্লেষণের সঙ্গে বিভিন্ন মন্তব্যও তারা করছেন ইউটিউবে। করোনাভাইরাস মহামারিতে ইউটিউবে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের কথা-বার্তা আরও বেড়েছে। যেহেতু ঘরে অলস সময় কাটছে সবার। ইনজামাম জানিয়েছেন, মিয়াঁদাদ কোচ থাকতে একবার খেলার জন্য মাঠে নামতে চেয়েছিলেন।

মিঁয়াদাদ তিন দফায় কোচ হয়েছেন পাকিস্তানের। তিনি কোচ থাকতে ইনজামামের নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছিল পাকিস্তান দল। সে সফরে দলে ব্যাটসম্যানের প্রকট অভাব দেখা দেয়, এমন সময় এগিয়ে এসেছিলেন মিঁয়াদাদ। ইনজামামকে বলেছিলেন, তিনি খেলতে চান। পাকিস্তানের ইতিহাসে অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যানের বয়স তখন ৪৫ পেরিয়ে গেছে। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বাউন্সি উইকেটে খেলার জন্য সে বয়সেই মুখিয়ে ছিলেন তিনি।

ইনজামাম সে ঘটনা স্মরণ করে বলেন, 'বয়স যাই হোক ব্যাটিং করতে সে কখনো পিছিয়ে থাকেনি। এমনকি এখন কেউ বললেও সে এগিয়ে আসবে। নিউজিল্যান্ডে সে সফরে আমি ছিলাম অধিনায়ক, তিনি কোচ। কিছু খেলোয়াড় চোট পাওয়ায় ব্যাটসম্যানের প্রকট অভাব দেখা দেয় দলে। নেট অনুশীলন থেকে ফিরতেই তিনি বললেন ‍"ব্যাটসম্যান না থাকলে একজন ব্যাটসম্যান খেলার জন্য পুরো প্রস্তুত আছে। বললাম, কে? তিনি জবাব দিলেন, আমি। বললাম, জাভেদ ভাই উইকেটের অবস্থা আপনি দেখেছেন আর আপনি খেলার বাইরে আছেন বহুদিন হয়ে গেল। কিন্তু তিনি অনড়। বললেন, ভেবো না আমি খেলব। অগত্যা বললাম, তাহলে আগে আপনাকে নেটে অনুশীলন করতে হবে।" দেখলাম আমি প্যাড-গ্লাভস খোলার আগেই তিনি নেটের জন্য প্রস্তুত! নিজের ব্যাটিং নিয়ে তিনি এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন।'

১৯৯৬ সালে পাকিস্তানের হয়ে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন মিঁয়াদাদ। অনেকের মতেই তিনি পাকিস্তানের ইতিহাসে সেরা ব্যাটসম্যান। ইয়ান চ্যাপেলের মতে, ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মিয়াঁদাদ।