হেলমেট না পরে মরলেও কষ্ট থাকত না

সারাজীবন এভাবেই হেলমেট ছাড়া বোলারদের শাসন করে গেছেন ভিভ রিচার্ডস। ফাইল ছবি
সারাজীবন এভাবেই হেলমেট ছাড়া বোলারদের শাসন করে গেছেন ভিভ রিচার্ডস। ফাইল ছবি

তিনি ব্যাট হাতে নামার সময়ই বদলে যেত ম্যাচ। বোলারদের শাসন করার উদগ্র বাসনা ঝরত শরীরী ভাষায়। বাইশ গজে করেছেনও তাই, হেলমেট ছাড়াই! তিনি ভিভ রিচার্ডস, সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন।

সর্বকালের অন্যতম সেরা কিছু পেসারদের হেলমেট ছাড়াই সামলেছেন ভিভ। এমন এক সময়ে যখন বাউন্সার মারায় কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসনের সঙ্গে আলাপচারিতায় ক্যারিবীয় কিংবদন্তি জানালেন হেলমেট না পরার কারণ। হেলমেট না পরার ঝুঁকিটাই নাকি ভিভের জন্য মনের দিক থেকে স্বস্তিদায়ক ছিল। সে জন্য মরলেও তাঁর কোনো আক্ষেপ থাকত না!

ওয়াটসনের পডকাস্টে ভিভ বলেন, ‘খেলার জন্য আমার ভালোবাসাটা ছিল এমন যে ওটা(হেলমেট না পরা) করতে গিয়ে মরলেও কোনো আক্ষেপ থাকত না। খেলাটা আমি ভালোবাসি। আর সেটি যদি ওভাবে করতে চাই তবে এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে।’

অন্যান্য খেলায় ভিভের মতো প্রাণের ঝুঁকি নিয়েছেন অনেকেই। বিশ্বকাপজয়ী এই ‌‘মাস্টার ব্লাস্টার’—এর কাছে সেসব অ্যাথলেট প্রেরণা, ‘অনেক পুরুষ ও নারী ক্রীড়াবিদদের এই ঝুঁকি নিতে দেখেছি। আমি তাদের সম্মান করি। ফর্মুলা ওয়ান চালানোর ঝুঁকি তো এর (হেলমেট না পরে ব্যাটিং) চেয়েও বেশি?’ ভিভের এ কথা বলার পর ওয়াটসনের পাল্টা প্রশ্ন, ‘কোনটা? হেলমেট ছাড়াই ঘণ্টায় ১৫০ কিমি গতির বল খেলা?’

মুখের সুরক্ষার জন্য ভিভকে ‘গার্ড’ রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন এক দন্তচিকিৎসক। ভিভ তা কানে তোলেননি। ব্যাটিংয়ের সময় চুইংগাম চিবোতে অসুবিধা হতো তাই, ‘ওটা কয়েকবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু চুইংগাম চিবোতে ভালো লাগত। মাঠে ১১জন প্রতিপক্ষ, আম্পায়ারও আছে, এসব মিলিয়ে নিজেকে সংখ্যালঘু লাগত। ওটাই (চুইংগাম) ছিল আমার ছোট্ট সঙ্গী। যতবার ব্যাটিংয়ে নেমেছিল চুইংগাম থাকতই। মুখের গার্ড তাই পরা হয়নি।’