পাকিস্তানে ম্যাচ পাতানোর আইন চান লতিফ

ম্যাচ পাতানো খেলোয়াড়দের বড় শাস্তি চান লতিফ। ফাইল ছবি
ম্যাচ পাতানো খেলোয়াড়দের বড় শাস্তি চান লতিফ। ফাইল ছবি

করোনার বিরুদ্ধে সবাই এক হয়ে লড়ছে। মাঠে খেলা নেই তো কী হয়েছে, একাত্ম হয়ে লড়ছেন সবাই মিলে। এর মাঝেই অবশ্য পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারেরা তর্কে মাতছেন একের পর এক। ম্যাচ পাতিয়ে নিষিদ্ধ হওয়া ক্রিকেটারদের শাস্তি দেওয়া না দেওয়া নিয়ে প্রতিদিন নতুন কোনো মতামত দিচ্ছেন।

কিছুদিন আগেই স্পট ফিক্সিং করার দায়ে পাওয়া নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে শারজিল খানের। পাকিস্তান সুপার লিগ খেলেছেন তিনি। জাতীয় দলেও ফিরতে পারেন এমন সম্ভাবনা জেগেছে। এ নিয়ে মুখ খুলেছেন মোহাম্মদ হাফিজ। শারজিলের ফেরার সম্ভাবনায় ক্ষেপে গিয়ে সাবেক কোচ ও বিশ্বকাপজয়ী জাভেদ মিঁয়াদাদ তো পারলে ফাঁসি দেন তাঁকে। বলেছেন, এমন কাজ যারা করে তারা পরিবারকেও ভালোবাসে না। এরা খুন করার মতো অপরাধ করেছে, তাদের এমন শাস্তিই দেওয়া উচিত।

আবার নিজে ওই অপরাধ করেছেন বলেই হয়তো সালমান বাট তুলে এনেছেন অন্য প্রসঙ্গ। বলেছেন, সাবেকদের উচিত না এত জ্ঞান দেওয়া। কারণ, পাকিস্তান ক্রিকেটে স্পট ফিক্সিং ছাড়াও অন্য অনেক অন্ধকার লুকিয়ে আছে। এর মাঝে ম্যাচ পাতানো নিয়ে বরাবরই উচ্চকণ্ঠ রশিদ লতিফও নিজের মতামত জানিয়ে দিলেন। তাঁর ভাষায়, স্পট ফিক্সিংকে দেশের আইনে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা উচিত। এ জন্য গণপরিষদে নতুন আইনও পাশ করা উচিত বলে মতামত দিয়েছেন লতিফ।

অনলাইনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে লতিফ বলেছেন, ‘আইসিসি কিছু নিয়ম দিয়েছে এবং বোর্ডগুলো সেটা মানে। কিন্তু এ নিয়মের ফলে অপরাধী ক্রিকেটাররা আবার ফিরে আসতে পারে। এদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে দেওয়া ঠিক না। সর্বোচ্চ ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে দেওয়া উচিত যেন তারা জীবিকা নির্বাহ করতে পারে।’

অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার পর গত বছর শ্রীলঙ্কাও ম্যাচ পাতানোকে দেশের আইন অনুযায়ী অপরাধ ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যান্য দেশে ম্যাচ পাতানোর শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ আইসিসি নির্ধারিত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। যুক্তরাজ্যে ম্যাচ পাতানোর ঘটনাকে ঘুষের আইনে ফেলা হয়। সালমান বাট, মোহাম্মদ আমিরদের জেল খাটার ঘটনাও যুক্তরাজ্য বলেই সম্ভব হয়েছিল। লতিফ চান পাকিস্তানেও আইন করে শাস্তিজনক অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হোক ম্যাচ পাতানোকে, ‘বিভিন্ন দেশে একে পুলিশের মামলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমাদেরও উচিত দেশে একে আইন করে অপরাধ বলে মেনে নেওয়া। এ ছাড়া খেলোয়াড়দের সম্পত্তিও কেড়ে নেওয়া উচিত।’

আইন করে শাস্তি দিতে বলছেন অপরাধীদের, শারজিলের ফেরায় তাঁর আপত্তি তো থাকবেই। লতিফ অবশ্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও শাস্তি চাইলেন এবার, ‘হ্যাঁ, আমি শারজিলের ফেরার বিরুদ্ধে। কিন্তু দুর্নীতি কি শুধু খেলোয়াড়দের মধ্যে সীমাবদ্ধ? ক্রিকেট যারা চালায় সেই কর্তাদের কেউ প্রশ্ন করে না কেন? তাদের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা আমরা উড়িয়ে দিতে পারি না। খেলোয়াড়েরাই বারবার ধরা খায় কিন্তু কর্মকর্তাদের ওপরও আমাদের চোখ রাখা উচিত।’