লকডাউন ভেঙ্গে মাঠে রোনালদো

>
মাঠে অনুশীলনে ফিরে খবরে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ছবি: সংগৃহীত
মাঠে অনুশীলনে ফিরে খবরে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ছবি: সংগৃহীত

ঘরে থেকে বিরক্ত হয়েই কি না, মাঠে গিয়েছিলেন রোনালদো। পর্তুগালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অবশ্য বলেছে, রোনালদো ক্ষতিকর কিছু করেননি।

একটানা আর কত দিন বাড়িতে বসে থাকা যায়। করোনাভাইরাস মহামারি হয়ে প্রায় সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার পর ঘরবন্দী সবার মানসিক অবস্থাই এখন এমন। বন্দী জীবনে বিরক্ত হয়ে উঠেছেন অনেকে। খেলোয়াড়দের অবস্থা তো আরও খারাপ। খেলা নেই, ঘরে বসে বসে আর কত অনুশীলন করা যায়!

এই বিরক্তি বোধ থেকেই কি না, ঘর থেকে বের হয়ে মাঠে গিয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। খুব অল্প সময় মাঠে কয়েকজনের সঙ্গে একটু খেলেছেন। কিন্তু এতেই আবার জুভেন্টাসের পর্তুগিজ উইঙ্গারকে পড়তে হয়েছে কড়া সমালোচনার মধ্যে। যদিও পর্তুগালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন, রোনালদো ক্ষতিকর কিছু করেননি।

জুভেন্টাস সতীর্থ দানিয়েলে রুগানিও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরই ইতালি ছেড়ে নিজের জন্মভূমি পর্তুগালের মাদেইরা দ্বীপে চলে গেছেন রোনালদো। সেখানেই পরিবারের সঙ্গে কোয়ারেন্টিনে আছেন। এত দিন বাড়ি থেকে বের হননি। নিজের বাড়ির সামনেই ফিটনেস অনুশীলন করেছেন। বান্ধবীকে দিয়ে চুল কাটিয়েছেন, সেই ভিডিও দিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে।

তবে এসব করেও বোধ হয় আর সময় কাটছিল না। যে কারণে দুদিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন কাছের এক মাঠে। সেখানেই কয়েকজনের সঙ্গে একটু অনুশীলন করেছেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, গোলবারের সামনে থেকে বলে শট নিচ্ছেন রোনালদো। গোলপোস্টে একজন গোলকিপারও ছিলেন। দূরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন আরও দুজন। কেউ অবশ্য কারও কাছে আসেননি।

তবে রোনালদোর এই বাড়ির বাইরে যাওয়া নিয়েই সমালোচনা হয়েছে। তবে স্থানীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের মুখপাত্র কার্লোস রামোস বলেছেন, ‘রোনালদো মাত্র কয়েক মিনিটের অনুশীলন করেছেন, যাতে কারও ক্ষতি হয়নি। একটু ব্যায়াম করার জন্য সব নাগরিকেরাই বাইরে বের হতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে যাতে তারা একত্র না হন এবং যাতে একজনের সঙ্গে অন্যজন দূরত্ব রেখে চলেন। রোনালদো এটাই করেছেন।‘

করোনা মহামারিতে তিন সপ্তাহ ধরে লকডাউন চলছে পর্তুগালে। দেশটিতে এরই মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, মারা গেছেন ৪৩৫ জন।