শোয়েবের গতিঝড় শেষ হলেই তাঁরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচতেন

১৯৯৯ বিশ্বকাপে শোয়েব আখতার। ছবি: টুইটার
১৯৯৯ বিশ্বকাপে শোয়েব আখতার। ছবি: টুইটার
>

শোয়েব আখতারের ঝড় তোলা গতির সামনে সবাই যে কত অসহায় ছিল, সেটার আরেকটা উদাহরণ দিলেন কিংবদন্তি দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার ও দলটার সাবেক অধিনায়ক শন পোলক

বিশ্বের দ্রুততম ডেলিভারি দেওয়ার রেকর্ড এখনো পাকিস্তানি পেসার শোয়েব আখতারের দখলে। শোয়েবের গতির কাছে ব্যাটসম্যানরা কতটা ম্লান ছিলেন, সে কেচ্ছা শোনা যায় প্রায়ই। এবার তেমনই একটা কাহিনি শোনালেন সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক শন পোলক। যে কাহিনিতে বোঝা গেল, শোয়েবকে আসলে ঠিক কতটা সমীহ করে চলতেন তাঁরা!

সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শন পোলক জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে যেকোনো ওয়ানডেতে শোয়েবের স্পেল শেষ হওয়ার অপেক্ষা করতেন পোলক-ক্যালিসরা। ওই যে, ওই এক কারণে! কোনোভাবে শোয়েবের গতি সামলাতে পারলেই হয়েছে, বাকি ইনিংসে ব্যাট করা যাবে নিশ্চিন্তে!

পোলকের মুখেই শুনুন সে কথা, ‘আমরা যখন ব্যাটিং করতাম, মাঠে থাকা পাকিস্তানি অধিনায়কের দিকে নজর রাখতাম নিয়মিত। ফলে বোঝা যেত শোয়েবের আর কয় ওভারের মতো বাকি আছে। যখন পাকিস্তানি অধিনায়ক ইঙ্গিত দিত যে শোয়েবের স্পেল শেষ, আমরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচতাম।’ পোলকদের এই স্বস্তি মাঠে থাকা দুই ব্যাটসম্যানের পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়ত প্রোটিয়া ড্রেসিংরুমেও!

অবশ্য পোলকের কথা ভুলও বলা চলে না। ওয়ানডেতে পাকিস্তানের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সবচেয়ে সফল বোলারদের তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে আছেন শোয়েব, উইকেটের দিক দিয়ে। শীর্ষে থাকা ওয়াকার ইউনিস ৫৮ জন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানকে শিকার করলেও ম্যাচ খেলেছিলেন ৩২টি, বল করেছিলেন ২৯১ ওভার। ২৪.৮৯ গড়ে রান দিয়েছিলেন ১৪৪৪। সেখানে তালিকার পঞ্চম স্থানে থাকলেও শোয়েব যে সবার চেয়ে বিধ্বংসী ছিলেন, সেটা বোঝা যায় আফ্রিকানদের বিরুদ্ধে তাঁর গড়, ম্যাচ ও ওভারের সংখ্যা দেখলে।

২৭ জন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানকে আউট করার জন্য মাত্র ১৫ ম্যাচ খেলেছিলেন শোয়েব, বল করেছিলেন ১২৪.৫ ওভার। রান দিয়েছিলেন ৬৩৭। গড় ছিল ২৩.৫৯। যা শীর্ষ পাঁচ বোলারের (বাকি চারজন ওয়াকার ইউনিস, শহীদ আফ্রিদি, ওয়াসিম আকরাম ও সাঈদ আজমল) প্রত্যেকের চেয়ে কম, ওয়াকারের দ্বিগুণেরও কম।

পোলকদের ভয় তো লাগবেই!