আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলকে এ বছর দেখা যাবে না

‘ব্রাজিল–আর্জেন্টিনা’ জাতীয় দ্বৈরথ এ বছর হয়তো দেখা না–ও যেতে পারে। ছবি: এএফপি
‘ব্রাজিল–আর্জেন্টিনা’ জাতীয় দ্বৈরথ এ বছর হয়তো দেখা না–ও যেতে পারে। ছবি: এএফপি

অথচ এই বছরটা হওয়ার কথা ছিল ফুটবলের বিজ্ঞাপনের। ইংলিশ লিগ, স্প্যানিশ লিগ, জার্মান-ইতালিয়ান বা ফ্রেঞ্চ লিগ, চ্যাম্পিয়নস লিগ...ইউরোপের ক্লাব ফুটবল তো আছেই। এর পাশাপাশি ২০২০ সালের সূচিতে ছিল ইউরোপের জাতীয় দলগুলোর শ্রেষ্ঠত্বসূচক ইউরো আর দক্ষিণ আমেরিকার জাতীয় দলগুলোর শ্রেষ্ঠত্বসূচক কোপা আমেরিকারও।


এদিকে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের মতো দলগুলোর কাছে লাতিন ফুটবলের ছন্দ, অন্যদিকে পর্তুগাল-জার্মানি-ফ্রান্স-হল্যান্ড-ইংল্যান্ডের ধুন্ধুমার লড়াই। আহা! সূচিতে চোখ বুলিয়ে কী রোমাঞ্চই না ছিল বছরের প্রথম দিনে।
কিন্তু এক করোনাভাইরাস এসে ইউরো ও কোপা আমেরিকাকে কেড়ে নিয়ে গেল ২০২০ সালের ক্যালেন্ডার থেকে। এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে দুটি টুর্নামেন্টই। ক্লাব ফুটবলও এখন বন্ধ, কবে ফিরবে সে উত্তর এই মুহূর্তে নির্দিষ্ট করে কেউই দিতে পারবে না।
তবে ক্লাব ফুটবল হয়তো করোনাকে পাশ কাটিয়ে ফিরবে ঠিকই, ২০২০ সালে আর জাতীয় দলের ম্যাচের দেখা না-ও মিলতে পারে। করোনার প্রভাব কাটিয়ে ফিফার সূচি নিয়ে কাজ করার দায়িত্বে থাকা ফিফা সহসভাপতি ভিক্তর মন্তাগলিয়ানির শঙ্কা এটি।

ফিফা বিশ্বকে যে ছয়টি ফুটবল অঞ্চলে ভাগ করেছে, তার মধ্যে কনক্যাকাফ (উত্তর ও মধ্য আমেরিকা আর ক্যারিবিয়ান অঞ্চল) অঞ্চলের ফুটবল প্রধান মন্তাগলিয়ানি। এই মুহূর্তে ফিফার সূচিতে করোনার প্রভাব নিয়ে যে ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করছে, সেটির প্রধান তিনি। এরই মধ্যে করোনার কারণে মার্চ ও জুনে হতে যাওয়া ম্যাচগুলো (বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব, উয়েফা নেশনস লিগ ও অন্যান্য অনেক ম্যাচ) পিছিয়ে দেওয়া ফিফার সূচিতে এই বছরে ম্যাচ আছে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসেও। সেগুলোও পিছিয়ে যেতে পারে বলে মনে হচ্ছে মন্তাগলিয়ানির।

২০২০ সালে জাতীয় দলগুলোর খেলার সম্ভাবনা দেখেন কি না, এপির এমন এক প্রশ্নে মন্তাগলিয়ানি বলেছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে সেটাকে বড় একটা চ্যালেঞ্জ বলেই মনে হয়। চ্যালেঞ্জটা শুধু বিশ্বজুড়ে আমরা যে স্বাস্থ্যগত ঝামেলায় আছি সেটা, বা সেটার বিপক্ষে একেকটি দেশের একেক রকম প্রস্তুতি নিয়েই নয়। পাশাপাশি (করোনার বিদায়ের পর) ফেরার পরই এত আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নিয়েও।’

আপাতত দেশে দেশে ঘরোয়া লিগগুলো শেষ করাই মূল মনোযোগ পাবে বলে মনে হচ্ছে মন্তাগলিয়ানির, ‘আমার মনে হয় ঘরোয়া ফুটবলই অগ্রাধিকার পাবে। (জাতীয় দলের ম্যাচ ফেরানোর জন্য) সেপ্টেম্বর এখনো হিসেবের মধ্যে আছে। তবে সব জায়গায় এখন যে পরিস্থিতি, তাতে আমি ঠিক নিশ্চিত নই সেটা আদৌ সম্ভব হবে কি না।’

ফুটবল ফিরলেও প্রথমদিকে সেটা দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হবে বলেই মনে হচ্ছে ফিফার এই সহসভাপতির, ‘ফুটবল ম্যাচ শুরু করার জন্য সবুজ সংকেত আমরা পেলেও, প্রথম ফুটবল ম্যাচটা দর্শকপূর্ণ স্টেডিয়ামে হওয়া নিয়ে আমার বড় সংশয় আছে। আমার কাছে তেমন হবে বলে মনে হচ্ছে না। অনেক বড় ঝুঁকি হয়ে যাবে সেটা। মোটামুটি নিশ্চিত আস্তে আস্তে ধাপে ধাপে মাঠে দর্শক ফেরানো হবে। স্বাভাবিক জীবনে ফেরার ক্ষেত্রে সমাজের বাকি সব দিকেও এভাবেই এগোতে হবে।’