রবি শাস্ত্রীকে পানিতে ফেলে দিয়েছিলেন মিয়াঁদাদ

জাভেদ মিয়াঁদাদ ও রবি শাস্ত্রী—খেলোয়াড়ি জীবনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভুলে মজা করেছেন নিজেদের মধ্যে। ছবি: এএফপি
জাভেদ মিয়াঁদাদ ও রবি শাস্ত্রী—খেলোয়াড়ি জীবনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভুলে মজা করেছেন নিজেদের মধ্যে। ছবি: এএফপি

করোনা-কালে ঘরে অলস সময়ে কত কথা মনে পড়ে!

জীবন বাঁচাতে বসে থাকতে হচ্ছে ঘরে। কোনো কাজ নেই, পৃথিবীটাও স্থবির পড়ে আছে। কাটছে না সময়। মানুষ কি অতীতচারী হয়ে পড়ছে? ক্রীড়াবিদদের দেখলে অন্তত এমনই মনে হয়। ঘরে বসে খেলার জগতের সঙ্গে তাঁরা আছেন যোগাযোগমাধ্যমে, কিংবা ইউটিউবে। জানাচ্ছেন অতীত সব স্মৃতি, মজার ঘটনা। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তেমনই এক ঘটনা জানালেন জাভেদ মিয়াঁদাদ।

সালটা বলেননি পাকিস্তানের কিংবদন্তি এ ব্যাটসম্যান। সেটি ছিল পাকিস্তান দলের ভারত সফর। বেঙ্গালুরুতে এক হোটেলে ছিল দুই দল। হাতে কোনো কাজ ছিল না। আর সময় ছিল হোলির। দুই দলের ক্রিকেটাররা মিলে উদ্‌যাপন করেছিলেন হোলি। মজা করে এক-অন্যকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছিলেন পুলের পানিতে।

মিয়াঁদাদ বলেন, ‘বেঙ্গালুরু টেস্টে দুই দলই হোটেলে ছিল। হাতে তেমন কাজ ছিল না। সন্ধ্যায় সবাই একসঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলাম। তখন ছিল হোলির (দোলযাত্রা) সময়। হোটেলে সবাই হোলি খেলছিল। মনে আছে আমরা ইমরান খানের কক্ষে ঢুকে একে-অন্যকে রং মাখিয়েছি। ভারতের ক্রিকেটারদেরও ছাড়িনি। ওরাও মজা পেয়েছে।’

১৯৭৬ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা মিয়াঁদাদ মজা করার আরেকটি ঘটনাও জানান। সেটি ভারতীয় দলে বিরাট কোহলিদের বর্তমান কোচ রবি শাস্ত্রীকে নিয়ে। শাস্ত্রী তখন জাতীয় দলের অলরাউন্ডার। হোলিতে সবাইকে রং মাখানোর সময়ে শাস্ত্রীকে সুইমিং পুলে ফেলতে একটু ‘বেগ’ পেতে হয়েছিল মিয়াঁদাদদের, ‘রবি শাস্ত্রী লুকিয়ে ছিল। আমরা ওকে রুম থেকে তুলে এনে সুইমিং পুলে ফেলে দিই। সবাই খুব মজা পেয়েছিলাম।<SNG-QTS>

তাঁর চোখে পাকিস্তান দলের সেরা সেই ভারত সফরের স্মৃতি যেন এখনো দোলা দিয়ে যায় মিয়াঁদাদের ৬২ বছর বয়সী মনে, ‘সেটা ছিল পাকিস্তানের সেরা সফর। প্রায় সব জায়গা থেকেই দাওয়াত পেয়েছিলাম। একসঙ্গে হোলি উদ্‌যাপন করেছি। সবার উচিত একে অন্যের উৎসবে অংশ নেওয়া। এতে কোনো ক্ষতি আমি দেখি না।’

ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট লড়াই মানেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা, বাগ্‌যুদ্ধ ও উত্তেজনা। ম্যাচের আগে দুই দলের কারও মুখ দেখাদেখি নেই অবস্থা। উত্তেজনার এই স্রোত উপচে পড়ে সমর্থকদের মধ্যেও। রাজনৈতিকভাবে বৈরী এ দুটি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে এখন ক্রিকেট দ্বৈরথ তেমন চোখে পড়ে না। মিয়াঁদাদ যে সময়ের কথা বলছেন, তখন চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাই ছিল। অথচ, মাঠের বাইরে হোটেলে দুই দলের ক্রিকেটার মধ্যে কী সম্প্রীতি!