'করোনা ছড়ানো হয়েছে মানুষের শরীরে মাইক্রোচিপ বসানোর জন্য'

রাশিয়াতে লকডাউন চলছে, তবু মারাত সাফিনের মনে করোনা নিয়ে সন্দেহ রয়ে গেছে। ছবি: এএফপি
রাশিয়াতে লকডাউন চলছে, তবু মারাত সাফিনের মনে করোনা নিয়ে সন্দেহ রয়ে গেছে। ছবি: এএফপি

করোনাভাইরাসের আবির্ভাব কীভাবে হলো, এ নিয়ে এখনো সন্দিহান বিজ্ঞানীরা। কোন প্রাণীর মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়িয়েছে, সেটা নিয়েও চলছে নানা আলোচনা। অনেকে আবার এর মাঝে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব খুঁজছেন। কেউ এতে চীনের ভূমিকা দেখছেন, কেউ যুক্তরাষ্ট্রের। মারাত সাফিন দ্বিতীয় পক্ষে আছেন। রাশিয়ার সাবেক টেনিস তারকার দাবি, মানুষের শরীরে মাইক্রোচিপ বসানোর ষড়যন্ত্রের অংশ এই করোনাভাইরাস সংক্রমণ!

বিশ্বে বরাবরই দেখা গেছে, যেকোনো ঘটনা নিয়েই সন্দেহবাতিকেরা প্রশ্ন তোলেন। চাঁদে মানুষের পা রাখা, টুইন টাওয়ারে হামলা—সন্দেহবাতিকেরা সবকিছুকেই ভুয়া বলে দাবি তোলেন। এত দিনে জানা গেল মারিত সাফিন এ দলে পড়েন। এই টেনিস তারকার ধারণা, বিল গেটস আসলে ভালো মানুষ সাজার চেষ্টা করছেন। করোনাভাইরাসের মতো কোনো ভাইরাস যে ছড়িয়ে পড়বে, গেটসের এমন সতর্কবার্তা দেখেই নাকি সাফিনের সন্দেহ হয়েছে বড় ধরণের কোনো ষড়যন্ত্র বহুদিন ধরেই চলছে, এবং সেটা মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যেই।

স্পোর্টস ডট আরইউর সঙ্গে কথোপকথনে সাফিন দাবি করেছেন, ‘আমার ধারণা, তারা মানুষের শরীরে চিপ স্থাপন করতে চায়, সবকিছু এর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। ২০১৫ সালে গেটস বলে দিয়েছেন, একটা মহামারি হবে। ভবিষ্যতে আমাদের বড় শত্রু হবে ভাইরাস, কোনো পারমানবিক যুদ্ধ নয়। ওরা ডাভোস ফোরামে এমন কিছু হলে কী হবে তার একটি পরীক্ষা করে নিয়েছিল। আমার মনে হয় না গেটস কোনো ভবিষ্যদ্বানী করেছিল। সে আসলেই জানত কী হতে যাচ্ছে।’

সাফিনের দাবি, করোনা আসলে অতটা ভয়ংকর নয়। বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা নাকি বাড়িয়ে বাড়ি বলছেন, যাতে সবাই শরীরে মাইক্রোচিপ লাগাতে রাজি হন, ‘আমার মনে হয় না ভাইরাসের সংক্রমণ যেমনটা বলছে অত খারাপ। মানুষ আসলে টিভিতে ভয়ংকর সব তথ্য দেখে বিশ্বাস করছে। অনেকে বিশ্বাস করে বিশ্ব ধংস হয়ে যাবে। কিন্তু আমি সেটা বিশ্বাস করি না। আমরা আসলে খুব শিগগিরই মাইক্রোচিপ বের হতে দেখব তারা পুরো বিশ্বকে ঘরে ঢুকতে বাধ্য করছে, দেখতে চাইছে সবকিছু কীভাবে চালানো যায়।’

বিশ্বজুড়ে ১ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন কোভিড-১৯–এ। রাশিয়ায় গতকাল পর্যন্ত ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ করনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তবু সাফিনের কাছে মনে হচ্ছে না এ ভাইরাস ভয়ংকর!