অস্ট্রেলিয়া বোর্ডের হতদরিদ্র দশা চমকে দিয়েছে ক্রিকেটারদের

অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের আর্থিক দুর্দশা চমকে দিয়েছে সবাইকে। ছবি: টুইটার
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের আর্থিক দুর্দশা চমকে দিয়েছে সবাইকে। ছবি: টুইটার
>ক্রিকেট অঙ্গনে ‘তিন মোড়ল’ এর এক বলে মানা হয় তাঁদের। করোনাভাইরাসের কারণে সেই অস্ট্রেলিয়া বোর্ডেরই হতোদ্যম অবস্থা দেখে ঘাবড়ে গিয়েছেন একাধিক অস্ট্রেলীয় তারকা

অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলার জশ হ্যাজলউড স্বীকার করেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে কিছুদিন পর অস্ট্রেলিয়ার বোর্ডের হতশ্রী অবস্থা হতে পারে, এ অবস্থা বুঝতে পেরে চমকে গিয়েছেন তাঁরা।

করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের সব জায়গার খেলাধুলা বন্ধ। যেহেতু খেলা নেই, টিভিস্বত্ব থেকে টাকাও আসছে না। ফলে বেশ আর্থিক সংকটে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার শীতকালীন খেলাগুলোর বোর্ড। অনেক খেলা বাতিল করতে হয়েছে তাঁদের।

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড এখনো পর্যন্ত কোনো খেলা বাতিল না করলেও পরবর্তীতে গ্রীষ্মে যে কোনো খেলা বাতিল করা হবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আর সেটা যদি হয়, অর্থনৈতিক মন্দায় পড়বেন হ্যাজলউডরাও। কিছুদিন আগেই যেমন দেশটার সাবেক অধিনায়ক মার্ক টেলর স্বীকার করেছেন, মহামারি পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দায় পড়তে হবে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডকেও। বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, বোর্ডের যা টাকা আছে, তা সামনের আগস্টের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। তারপর কী হবে, কেউ জানে না।

এ ব্যাপারটাই চমকে দিয়েছে হ্যাজলউডদের। মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হ্যাজলউড বলেছেন, ‘আমি যখন ব্যাপারটা শুনলাম, আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়েছে, ব্যাপারটা হজম করা বেশ কঠিন ছিল আমার জন্য।’

টিভিস্বত্ব বাবদ আয়ের পরবর্তী কিস্তি আগামী সেপ্টেম্বরের আগে আসবে না। কিন্তু অবস্থা এমন চলতে থাকতে সেই টাকাও আসবে কি না, ব্যাপারটা নিশ্চিত না। ফলে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের আয়ের ওপর প্রভাব পড়বে। বেতন কমে অর্ধেকও হয়ে যেতে পারে। বিষয়টা বুঝেছেন হ্যাজলউড, ‘আমরা অনেক সাফল্যমণ্ডিত সময় কাটিয়েছি। এবার খুব সম্ভবত একটু বাজে সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে আমাদের। অন্যান্য খেলার চেয়ে আমরা আলাদা কিছু নই। যদি এই সমস্যা বেশি দিন ধরে চলে, আগামী গ্রীষ্ম পর্যন্ত যদি যায়, তবে আমার মনে হয় পরিস্থিতি বেশ খারাপ হবে।’

হ্যাজলউড আশাবাদী, এই কারণে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড আর খেলোয়াড়দের সংগঠনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটবে না। যেমনটা ঘটেছিল ২০১৭ সালে। দুই সংগঠনের মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী এপ্রিলের ৩০ তারিখের মধ্যে ক্রিকেটারদের সংগঠনকে চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের তালিকা ও লভ্যাংশের হিসাব বুঝিয়ে দিতে হবে।

আগামী গ্রীষ্মেও যদি হ্যাজলউডরা মাঠে নামতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের বেতনের ওপর কাঁচি চলবে। তবে বেতন কত কমবে না কমবে, সে সিদ্ধান্তও ৩০ এপ্রিলের পর দশদিনের মধ্যে চলে আসবে বলে আশাবাদী হ্যাজলউড, ‘আমার মনে হয় দুই সংগঠনের মধ্যে সম্পর্ক এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো। দুই বছর আগে যা অবস্থা ছিল, এখন আর তা নেই। আশা করব দুই সংগঠন দক্ষতার সঙ্গে আগের চেয়ে আরও ভালোভাবে এই সংকট মোকাবিলা করবে। এপ্রিলের ৩০ তারিখের মধ্যে হয়তো সবকিছু জেনে যাব। তবে পরিস্থিতি এখন খুবই সঙিন। অনেক কিছুই হতে পারে। তবে ৩০ তারিখের মধ্যে জানা গেলে খেলোয়াড়দের জন্যই ভালো। আমরা আগে আগে জেনে গেলাম কতটুকু বেতন কাটা হচ্ছে, কী সমাচার। সে অনুযায়ী তখন সামনে পরিকল্পনা করতে পারব।’