অবসর নিলেন সানা মীর

সানা মীর। ছবি : সানা মীরের টুইটার
সানা মীর। ছবি : সানা মীরের টুইটার
>পনেরো বছরব্যাপি চলতে থাকা উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের পরিসমাপ্তি টানলেন পাকিস্তানি নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সানা মীর

উপমহাদেশে মেয়েদের ক্রিকেট জনপ্রিয় করার পেছনে যাদের হাত ছিল, তিনি ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ২০১০ ও ২০১৪ সালে পাকিস্তানকে এশিয়ান গেমসের ক্রিকেটে সোনা জেতানো অধিনায়ক সানা মীর অবশেষে তাঁর ক্যারিয়ারের পর্দা নামিয়ে দিলেন। অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন এই কুশলী অলরাউন্ডার।

পনেরো বছরের ক্যারিয়ারে সানা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ২২৬ টি, ১২০টি ওয়ানডে, ১০৬টি টি-টোয়েন্টি। যার মধ্যে ১৩৭টিতেই অধিনায়ক ছিলেন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত আট বছর অধিনায়ক থাকা এই তারকা আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পাকিস্তান বোর্ডকে, 'আমি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। পনেরো বছর ধরে দেশকে সেবা করার সুযোগ পেয়েছি তাঁদের জন্য। এটা আমার জন্য পরম সম্মান ও সৌভাগ্যের বিষয়। দলের সকল কর্মকর্তা, সকল মাঠকর্মী ও পর্দার আড়ালে থাকা সকল মানুষের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা, যারা আমার ক্যারিয়ার ও নারীদের ক্রিকেটের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন। অবসর নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই ভাবছিলাম। অবশেষে আমার মনে হয়েছে, অবসর নেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। আমি যা দিয়েছি, এদেশের নারী ক্রিকেটকে এর চেয়ে বেশি কিছু দেওয়ার সামর্থ্য আমার ছিল না।'

২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করাচিতে ক্যারিয়ার শুরু করা এই তারকার শেষটার সঙ্গে জুড়ে আছে বাংলাদেশের নাম। ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডে সানা খেলেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে, গত বছর, লাহোরে।

কার্যকরী এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার ১২০ ওয়ানডে খেলে ১৭.৯১ গড়ে রান তুলেছেন ১৬৩০। ১০৬ টি-টোয়েন্টিতে রান ৮০২, গড় ১৪.০৭।

তবে সানার মূল ক্ষমতা ছিল অফ স্পিনে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে যথাক্রমে ১৫১ ও ৮৯ উইকেট নেওয়া এই তারকা প্রথম পাকিস্তানি নারী ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসির বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠেছিলেন, ২০১৮ সালের অক্টোবরে। প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে এক শ উইকেট নেওয়া ক্রিকেটারও সানা।