চট্টগ্রাম শহরটাকে মনে রাখবেন যে দক্ষিণ আফ্রিকান

বাংলাদেশের বিপক্ষে জ্যাক রুডলফের সেই ডাবল সেঞ্চুরি। ছবি: টুইটার
বাংলাদেশের বিপক্ষে জ্যাক রুডলফের সেই ডাবল সেঞ্চুরি। ছবি: টুইটার

২৬ এপ্রিল তারিখটাকে হয়তো কোনোদিনই ভুলতে পারেননি জ্যাক রুডলফ, একই সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রামকেও। ১৭ বছর আগে এ শহরেই যে হয়েছিল তাঁর টেস্ট অভিষেক। সে ক্ষণ তিনি রাঙিয়েছিলেন অসাধারণ এক ডাবল সেঞ্চুরি করে।

চট্টগ্রামের সে দিনটি নিশ্চিত করেই ভুলে যেতে চাইবে বাংলাদেশ দল। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ওভারের পর ওভার ফিল্ডিং করে যাওয়া তো কোনোভাবেই সুখকর কিছু হতে পারে না। সেদিন বাংলাদেশের বোলারদের পরীক্ষার চূড়ান্ত নিয়েছিলেন ২২ বছরের এই প্রোটিয়া তরুণ। বোয়েটা ডিপেনারের সঙ্গে রুডলফ বেঁধেছিলেন ৪২৯ রানের জুটি। সাড়ে আট ঘণ্টা ধরে ব্যাটিং করে রুডলফ ২২২ রানে অপরাজিত ছিলেন শেষ পর্যন্ত।

রুডলফ–ডিপেইনার জুটি আর ভাঙতেই পারেনি টেস্ট ক্রিকেটে সবে তৃতীয় বছরে পা রাখা বাংলাদেশের বোলিং। ডিপেনার অপরাজিত ছিলেন ১৭৭ রানে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রুডলফ–ডিপেনারের ৪২৯ রানের জুটি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ। রুডলফ মেরেছিলেন ২৯টি বাউন্ডারি, ২টি ছক্কা। ডিপেনার ২৫ চার আর ২টি ছয়।

রুডলফের অভিষেক এই টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছিল ইনিংস ও ৬০ রানে। প্রথমে ব্যাটিং করে ১৭৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রোটিয়ারা ২ উইকেটে ৪৭০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩৭ পর্যন্ত করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দুই ইনিংসেই সর্বোচ্চ রান এসেছিল হাবিবুল বাশারের ব্যাট থেকে। প্রথম ইনিংসে তিনি করেন ৮৭ বলে ৬০, দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৮ বলে ৭৫।

দুর্দান্তরূপে ক্যারিয়ার শুরু করা রুডলফ সেটিকে বেশিদূর নিতে পারেননি। দেশের হয়ে ৪৮ টেস্ট আর ৪৫ ওয়ানডেতে শেষ হয়েছে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনিতে খেলেছেন শেষ ওয়ানডে। টেস্ট ক্যারিয়ারটা একটু দীর্ঘ হয়েছিল—২০১২ সালে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়াই ছিল টেস্টে তাঁর শেষ প্রতিপক্ষ। একটি টি–টোয়েন্টি অবশ্য খেলেছেন, সেটিও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই।