'ওয়ানডের চেয়ে আফ্রিদি টেস্টেই বেশি ভালো ছিল'

আফ্রিদির টেস্ট ক্যারিয়ারটা হতে পারত আরও লম্বা। ফাইল ছবি, রয়টার্স
আফ্রিদির টেস্ট ক্যারিয়ারটা হতে পারত আরও লম্বা। ফাইল ছবি, রয়টার্স

২২ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে টেস্ট খেলেছেন মাত্র ২৭টি। পুরো ক্যারিয়ার প্রায় দুই যুগের হলেও শহীদ আফ্রিদির টেস্ট ক্যারিয়ার  ১২ বছরের। ১৯৯৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করাচি টেস্ট দিয়ে শুরু, ২০১০ সালে সাদা পোশাককে একেবারে বিদায় জানানোর আগে খেলেছেন মাত্র ২৭ টেস্ট।

২৭ টেস্টে ৩৬.৫১ গড়ে করেছেন ১ হাজার ৭১৬ রান। সেখানে ওয়ানডেতে আফ্রিদির ব্যাটিং গড় ২৩.৫৭। টেস্টের পরিসংখ্যান জেনেই শোয়েব আখতার মনে করেন, ওয়ানডের তুলনায় আফ্রিদি টেস্টেই বেশি ভালো ছিলেন, 'সব সময়ই বলে এসেছি, যদি ওয়ানডের সঙ্গে তুলনা করেন আফ্রিদি টেস্টেই বেশি ভালো। সব সময়ই বিশ্বাস করেছি সে যতটা না ভালো ব্যাটসম্যান, তার চেয়ে ভালো বোলার।'

শোয়েব বিশ্বাস করলেও আফ্রিদি নিজে কি তা আর মনে করতেন! সীমিতওভারের ক্রিকেটে নিজেকে যেভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন, টেস্টে সেটা পারেননি বলেই ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন 'তিনবার'! টেস্ট থেকে প্রথমবার অবসর নিয়েছেন ২০০৫ সালে। পরেরবার ২০০৬ সালে। তৃতীয়বার ২০১০ সালে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেডিংলি টেস্ট খেলে।  

পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ অবশ্য দিয়েছেন আরেক তথ্য। আফ্রিদি যতই সাদা বলে মনোযোগী হতে টেস্ট ছাড়ার কথা বলুন না কেন, পাকিস্তানি অলরাউন্ডারকে নাকি টেস্টেই বেশি মনোযোগী হতে বিভিন্ন সময় পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। রশিদ বলছেন, 'শহীদ আফ্রিদির (দ্রুত) টেস্ট ক্রিকেট ছাড়া উচিত হয়নি। তার রেকর্ড তো বেশ ভালোই ছিল। টেস্ট ক্রিকেট না ছাড়তেই তাকে পরামর্শ দিয়েছিলাম আমরা। কিন্তু সে ঠিক করল সাদা বলেই বেশি মনোযোগী হবে।'