হার্শার নাম শুনে কী মনে হয় মাঞ্জরেকারের?

হার্শা ভোগলে ও সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। গত নভেম্বরে কলকাতার কমেন্ট্রি বক্সে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিতর্কে। ছবি: এএফপি
হার্শা ভোগলে ও সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। গত নভেম্বরে কলকাতার কমেন্ট্রি বক্সে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিতর্কে। ছবি: এএফপি

ধারাভাষ্যকার হিসেবে সাম্প্রতিক সময়ে নিজেকে যথেষ্ট বিতর্কিত করে তুলেছিলেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। কখনো নির্দষ্ট কোনো ক্রিকেটারকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে, কখনো বা রসিকতাচ্ছলে সহভাষ্যকারকে অপমাণ করে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) অবশ্য এতকিছু মেনে নেয়নি। দ্রুতই তাদের ধারাভাষ্য প্যানেল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এই তারকা ব্যাটসম্যানকে। 

আপাতত মাইক্রোফোন হাতে কোনো কাজ নেই মাঞ্জরেকারের। সেটি বেকার বলেই নয়, করোনার এই সময় যেখানে মাঠে খেলাধুলোই নেই, সেখানে ধারাভাষ্যকারের আর কী কাজ! তবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কিন্তু যথেষ্ট ব্যস্ত সময়ই কাটাচ্ছেন ক্রিকেট সেলিব্রেটিরা। ঘরে বসে ভিডিও–বার্তা কিংবা ফেসবুক–টুইটার–ইনস্টাগ্রামে তুলে ধরছেন নিজেদের নানা অভিব্যক্তি। নানা কথাবার্তা।
সম্প্রতি মাঞ্জরেকারকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল হার্শা ভোগলের সম্পর্কে। বিখ্যাত এই ক্রিকেট ধারাভাষ্যকারের নামটি উচ্চারিত হলেই প্রথমে তাঁর মনে কী আসে? জবাবে সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান একেবারেই দেরি করেননি, 'ভারতের সেরা ধারাভাষ্যকার।' উত্তরটা যেন দেবেন বলেই অপেক্ষা করে ছিলেন তিনি।
অথচ এই হার্শা ভোগলেকেই কটুক্তি করেছিলন মাঞ্জরেকার। গত নভেম্বরে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে বাংলাদেশ–ভারত দিনরাতের টেস্টের এক পর্যায়ে হার্শা মন্তব্য করেছিলেন, গোলাপি বল দেখতে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের কোনো কী অসুবিধা হচ্ছে এটা তাদের জিজ্ঞেস করা উচিত। কথার পিঠে তখনই মাঞ্জরেকার বলে ওঠেন, 'যারা ক্রিকেট খেলেছে, তাদের এ ধরনের কথা জিজ্ঞেস করার কোনো মানেই হয় না। এই প্রশ্নটা আসলে তোমাকেই জিজ্ঞেস করা উচিত।'
এই মন্তব্যে হার্শার অক্রিকেটীয় প্রেক্ষাপটকেই তাচ্ছিল্য করেছিলেন মাঞ্জরেকার। ব্যাপারটা সমালোচনার ঝড় তোলে ক্রিকেট দুনিয়ায়।