উমেশ যাদবকে দেখলেই যা ইচ্ছা করে তামিমের

ইনস্টাগ্রাম লাইভে এবার তামিম-মাহমুদউল্লাহর জুটি। ফাইল ছবি
ইনস্টাগ্রাম লাইভে এবার তামিম-মাহমুদউল্লাহর জুটি। ফাইল ছবি

করোনাকালের একঘেঁয়ে জীবনে ভিন্ন মাত্রা যোগ করতে তামিম ইকবাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধারাবাহিক অনুষ্ঠানই যেন শুরু করেছেন। শনিবার রাতে তামিম ইনস্টাগ্রামে ‘লাইভে’ এসেছিলেন মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে। কাল রোববার রাতে বাঁহাতি ওপেনার এলেন মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে। নিজেদের ড্রেসিংরুমের অনেক জানা-অজানা গল্প কিংবা নানা ক্রিকেটীয় ঘটনা নিয়ে প্রাণবন্ত এক আড্ডাই হলো দুই ক্রিকেট তারকার।

২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভিষেকের পর তামিম খেলে ফেলেছেন ৩৪৫টি ম্যাচ। ১৩ হাজারের বেশি রান করা বাঁহাতি ওপেনারকে কত ভয়ংকর বোলারদের খেলতে হয়েছে। কদিন আগে একটি লাইভ অনুষ্ঠানে তামিম জানিয়েছিলেন, ক্যারিয়ারে মুখোমুখি হওয়া সবচেয়ে কঠিন তিন বোলারের নাম। তাঁর খেলা সবচেয়ে তিন কঠিন বোলার সাঈদ আজমল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও মরনে মরকেল।

কাল লাইভে প্রসঙ্গটা আবার তুললেন মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক তামিমকে প্রশ্ন করলেন, ক্যারিয়ারে কোন বোলারকে দেখলেই শুধু মারতে ইচ্ছা করে। ‘উমেশ যাদব, ওকে দেখলেই আমার মারতে ইচ্ছা করে’—তামিমের ঝটপট উত্তর!

এই প্রসঙ্গে মাহমুদউল্লাহর প্রতি তামিমেরও প্রশ্ন আছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে বাঁহাতি ওপেনার অনেকবারই আউট হয়েছেন অফস্পিনার মাহমুদউল্লাহর বলে। 'বাংলাদেশের একমাত্র অফস্পিনার আপনি, যাঁর বল খেলতে আমরা ভীষণ সমস্যা হয়। কীভাবে যেন আপনার বলে আউট হয়ে যাই! আমি জানতে চাই, আমি যখন ব্যাটিং করি, আপনি কীভাবে যেন বুঝে জান, আমি কী করতে যাচ্ছি। কারণটা কী?' প্রশ্ন ছোড়েন তামিম।

মাহমুদউল্লাহটা অবশ্য রহস্যটা উন্মোচন করেননি, 'আমি ঠিক জানি না। হয়তো আগে থেকে ধারণা করি। অনেক সময় এটা কাজে লাগে, অনেক সময় কাজে লাগে না। অনেক সময় কিছু একটা হয়ে যায়, যেটা আমি নিজেও আশা করিনি।... আর তোকে যদি গৎবাঁধা বোলিং করি, তুই আমাকে একেবারে মেরে ফেলবি! তুই তো অফস্পিনারদের তুলোধোনা করে ফেলিস! আমার লক্ষ্য থাকে তুই যেন আমাকে ছক্কা মারতে না পারিস।'