'চোখ টিপ' দিয়ে রাখলেন তিনি

এ জার্সিতে খুব বেশিদিন দেখা যাবে কি কামাভিঙ্গাকে? ছবি: রেনে টুইটার
এ জার্সিতে খুব বেশিদিন দেখা যাবে কি কামাভিঙ্গাকে? ছবি: রেনে টুইটার

রিয়াল মাদ্রিদের আরেকটা কাসেমিরো দরকার। এ মৌসুমে দলের প্রায় সব শূন্যস্থান পূরণ করে ফেলেছেন জিনেদিন জিদান। কিন্তু ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে কাসেমিরোর কোনো বিকল্প তাঁর জোগাড় করা হয়নি। আগামী মৌসুমে এ ঘাটতি আর রাখতে চান না জিদান। কাসেমিরো না হোক একজন নতুন  ‘ম্যাকলেলে’  তাঁর খুব করে দরকার।

এ ক্ষেত্রে জিদানের পছন্দের তালিকায় বেশ কয়েকজনই আছেন। এবং অবিশ্বাস্যভাবে সবাই তাঁর দেশেরই। ফ্রান্স ফুটবলের নবজাগরণের অংশ হয়ে উঠে আসছেন লিলের বুবাকারি সোমারে, মোনাকোর অরেলিয়েন সোমেনি ও রেনের এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। এঁদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ হলেও কামাভিঙ্গার প্রতিই আগ্রহ বেশি রিয়াল মাদ্রিদের। দলটিতে ভবিষ্যত তারকা টানার দায়িত্বে থাকা জুনি কালাফাত বহুদিন ধরেই এই ১৭ বছরের মিডফিল্ডারের ওপর নজর রাখছেন।

মৌসুমের শুরুতে নেইমার-এমবাপ্পের পিএসজিকে একাই নাকানি-চুবানি খাইয়ে আলোচনায় চলে আসেন সে সময় ১৬ বছরের কামাভিঙ্গা। মৌসুম যত গড়িয়েছে, সে আলোচনা আরও পোক্ত হয়েছে। এবং তাঁর প্রতি বড় বড় সব ক্লাবের নজর পড়েছে। এবার কামাভিঙ্গাই জানালেন তাঁর সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদকে জড়িয়ে যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে সেটা কতটা প্রভাব ফেলেছে ফ্রেঞ্চ ফুটবলে।

উয়ে ফ্রান্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রেনের এই মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘একবার কুপ দো লা লিগের এক ম্যাচে আমিয়ঁর এক খেলোয়াড় বলেছিল, ‘‘রিয়ালে যাওয়ার আগে তোমার এ জার্সিটা আমাকে দিয়ে যেও।’’’ দলবদলের গুঞ্জনে খেলোয়াড়েরাও যে প্রভাবিত হন!

কামাভিঙ্গা সঙ্গে সঙ্গে সে কথার জবাব দিতে পারেননি, ‘আমি ওই সময় ঠাট্টার জবাব দিতে চাইনি কারণ ওরা আমাদের হারিয়ে দিয়েছিল সেদিন। কিন্তু পরে ভেবে মজাই পেয়েছিলাম।’ যদিও রিয়ালে যাওয়ার গুঞ্জনে এখনো সরাসরি কিছু বলতে চান না সদ্য কৈশোর পেরোনো এই ফুটবলার, ‘আমি এ নিয়ে খুব বেশি ভাবছি না। বড় ক্লাব আমার ব্যাপারে আগ্রহী, এটা শুনতে ভালো লাগে। কিন্তু এ নিয়ে আমি খুব একটা আগ্রহী নই। কারণ আমি রেনেতে সুখী। পরে দেখা যাবে কী হয়।’

পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ নিশ্চিত করে ফেলেছে রেনে। ফলে তাঁকে পেতে কাঠখড় পোহাতে হবে রিয়ালকে। কামাভিঙ্গা অবশ্য দলবদলের সিদ্ধান্ত অন্যদের কাঁধেই ফেলে দিয়েছেন, ‘আমার বাবা-মা ও এজেন্টের ওপর এসব দায়িত্ব। কিন্তু মৌসুমের মাঝপথে এত গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে আমি জানতাম সেটা। মৌসুম শেষেই দেখা যাবে কী হয়।’

প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ই যখন তাঁর গায়ে রিয়ালের জার্সি চড়িয়ে দিচ্ছেন, তখন স্পেনের রাজধানীতে যাওয়াটা শুধু কিছু সময়ের অপেক্ষা বলে মনে হচ্ছে। অন্তত কামাভিঙ্গা তো তেমন ইঙ্গিতই দিচ্ছেন। কারণ, ফ্রান্সের ফুটবল মৌসুম কিন্তু এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে!