ভারত অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে দুই সপ্তাহ বসে থাকতেও রাজি

অস্ট্রেলিয়ায় খেলার জন্য অনেক বড় ত্যগ স্বীকার করতে রাজি ভারত। ছবি: টুইটার
অস্ট্রেলিয়ায় খেলার জন্য অনেক বড় ত্যগ স্বীকার করতে রাজি ভারত। ছবি: টুইটার

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া হঠাৎ করেই বেকায়দায় পড়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ট্যাঁক ফাঁকা হয়ে গেছে তাদের। কর্মীদের বেতন কেটে, ছাটাইয়ের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে চলতে হচ্ছে তাদের। এ অবস্থায় ভারতের বিপক্ষে লোভনীয় সিরিজ আয়োজন করতে না পারলে ৩০ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার গচ্চা দিতে হবে!

আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ভারতের সঙ্গে সিরিজটা আয়োজন করতে সিএ তাই উঠেপড়ে লেগেছে। অস্ট্রেলিয়ার এমন সময়ে ভারতও এগিয়ে এল। ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ অরুণ সিং ধুমাল বলছেন, ভারত অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে প্রয়োজনে দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে রাজি।

চার টেস্টের বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি আর তিনটি ওয়ানডে নিয়ে সিরিজটি হওয়ার কথা। কিন্তু করোনাভাইরাস বিশ্বের অন্য সব খেলার মতো এই সিরিজকেও ফেলেছে সংশয়ে। এই অক্টোবরেই অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও যেমন সংশয়ে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চেয়েও অস্ট্রেলিয়ার ভারতের বিপক্ষে এই সিরিজ নিয়ে আগ্রহ বেশি। অর্থের ঝনঝনানি যে সেখানে! দর্শক মাঠে না আসতে পারলেও শুধু টিভি স্বত্ব দিয়েই আয় করা যাবে ঢের।

সে কারণেই কিনা, সিরিজটি হওয়া নিশ্চিত করতে অস্ট্রেলিয়ার যত তোড়জোড়। তত দিনেও করোনার কারণে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নিষিদ্ধ থাকলে কোহলিদের বিশেষ ব্যবস্থায় অস্ট্রেলিয়ায় নেওয়ার কথা ভাবছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার। সিরিজের আশা আরও বাড়িয়েছে এই সপ্তাহে দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী রিচার্ড কোলব্যাকের কথা। তাঁর স্বরে বছরের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়ায় আন্তর্জাতিক খেলাধুলা হওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সুর ছিল।

সিরিজটি নিয়ে এখন ইতিবাচক সুর আসছে ভারত থেকেও। প্রয়োজনে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকার ইচ্ছাও সেটির প্রমাণ। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ ধুমাল বলেছেন, 'আর কোনো বিকল্প তো নেই। সবাইকেই এটা করতে হবে। দুই সপ্তাহ অত বড় লকডাউন তো নয়।' সিরিজের সবগুলো টেস্টই হতে পারে অ্যাডিলেডে, সে ক্ষেত্রে খেলোয়াড়েরা থাকবেন মাঠের লাগোয়া হোটেলে।

অস্ট্রেলিয়ার আরেকটি প্রস্তাবও ভেবে দেখছে ভারত। সাধারণত বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি চার টেস্টের হলেও টিভিস্বত্ব থেকে বেশি আয়ের আশায় সেটিকে এবার পাঁচ টেস্টের করার প্রস্তাব এসেছে। তবে ধুমাল আরও বিকল্প প্রস্তাবও দিচ্ছেন, 'ওই প্রস্তাবটা (পাঁচ টেস্টের) লকডাউনের আগে দেওয়া হয়েছিল। সময়–সুযোগ থাকলে দুই বোর্ড মিলে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা আরেকটি টেস্ট হতে পারে, অথবা দুটি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি।' সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আগ্রহের কারণও অর্থই, 'লকডাউনের কারণে যে ক্ষতি হয়েছে, লকডাউনের পর তারা অবশ্যই বাড়তি আয় চাইবে। আর টেস্টের চেয়ে ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টিতেই আয় বেশি।'