প্রাপ্তবয়স্কদের জগতেও মেসি-রোনালদো

তাঁদের আবেদন সবখানেই। রয়টার্স ফাইল ছবি
তাঁদের আবেদন সবখানেই। রয়টার্স ফাইল ছবি

তাঁদের একটি মুহূর্ত সমর্থকদের আনন্দে ভাসিয়ে দেয়। পায়ের একটু ছন্দ, একটি মোচড় কিংবা গোলার মতো এক শটে মুহুর্তের মধ্যে তৃপ্তির সপ্তম স্বর্গে পৌছে যান সমর্থকেরা। ফুটবল মাঠে মেসি-রোনালদো মানেই যে সমর্থকদের মন মাঠে পড়ে থাকা, পর্দায় চোখ আটকে রাখা। কিন্তু সে পর্দা শুধু খেলাতেই আটকে থাকছে না। ভিন্ন জগতের পর্দাতেও মেসি-রোনালদোদের খুঁজে বের করে দেখছেন তাঁদের সমর্থকেরা।

প্রাপ্তবয়স্কদের এক ওয়েবপোর্টাল নতুন এক তথ্য জানিয়েছে। প্রিয় তারকাদের শুধু খেলার জন্য নয়, বিশেষ চাহিদার জন্যও কামনা করেন অনেকেই। মেসি, রোনালদো কিংবা এমবাপ্পেদের মতো তারকারা যে অনেকেরই কামনার পাত্র। ব্যক্তিগত সে ইচ্ছা তো পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তাই বিশেষ চাহিদা পূরণের ওয়েবসাইটে গিয়েই 'ঘোলের স্বাদ' নেন অনেকে।

প্রিয় তারকাদের খোঁজেন অনেকেই। আর সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয় মেসি-রোনালদোকেই। ফুটবল মাঠে দুজনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা কিংবদন্তি পর্যায়ে পৌছে গেছে। এখানেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। কিন্তু শারীরিক গঠনে এগিয়ে থাকাতেই হয়তো মেসিকে এ ক্ষেত্রে টপকে গেছেন রোনালদো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মতো বড়দের ওয়েবসাইটেও রোনালদোর খোঁজই বেশি হয়েছে।
দুইয়ে মেসির পর তিন আর চারে থাকা নাম দুটি চমকে দেবে সবাইকে। ভালো স্ট্রাইকার হতে পারেন কিন্তু বিশ্বের সেরা দশ তারকার মধ্যে স্থান পাবেন না আর্জেন্টাইন মাউরো ইকার্দি। এ ক্ষেত্রে অবশ্য তাঁর তিনে উঠে আসার পেছনে ইনস্টাগ্রাম মডেল স্ত্রী ওয়ান্ডা নারার ভূমিকাও থাকতে পারে!
বর্তমান ফর্ম বিবেচনায় বিশ্বের প্রথম এক শতে জায়গা পাবেন না, কিন্তু বিশেষ চাহিদার ওয়েবসাইটে চারেই আছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অ্যালেক্সিজ সানচেজ।

কিশোর তারকা থেকে ধীরে ধীরে মহাতারকা হয়ে উঠছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। বিশ্বের সব বড় ক্লাব লোলুপ দৃষ্টিতে তাঁর দিকে তাকিয়ে আছে। এখন দেখা যাচ্ছে সে দৃষ্টি অন্য অনেকেই দিচ্ছেন। এ কারনেই তো ওয়েবসাইটটির পাঁচে ফ্রেঞ্চ বিশ্বকাপজয়ী। ছয় ও সাতে আছেন আরও দুই পরিচিত মুখ পাওলো দিবালা ও এডেন হ্যাজার্ড। সাতে স্থান করে নিয়েছেন ইংলিশ উইঙ্গার রাহিম স্টারলিং। তাঁর এই উত্থানে কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া প্রশ্নবিদ্ধ এক ভিডিও কিছুটা হলেও ভূমিকা রেখেছে।
নয়ে অপেক্ষা করছে আরেক বিস্ময়। রিয়াল মাদ্রিদের করিম বেনজেমা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফ্যাশন আইকন হওয়ার মত ছবি পোস্ট করেন। কিন্তু বরাবরই সতীর্থদের আড়ালে থাকা বেনজেমার এ ওয়েবসাইটে উত্থানের কারণ ভিন্ন। ফ্রেঞ্চ সতীর্থের অন্তরঙ্গ ভিডিও প্রচার হওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছিল বেনজেমার বিপক্ষে। এ কারণে বহুদিন ধরেই ফ্রান্স দলে সুযোগ মেলে না তাঁর। তাঁর এমন পরিচিতিই হয়তো বিশেষ চাহিদার ওয়েবসাইটে তাঁকে জায়গা করে দিয়েছে।

শীর্ষ দশের শেষ নামটি অবশ্য অনুমিত। খেলোয়াড়দের মধ্যে যৌন আবেদনে এখনো পর্যন্ত তাঁকে টপকানোর কোনো সুযোগ নেই কারও। সে সঙ্গে দুর্দান্ত ফ্যাশন সেন্স মিলিয়ে ডেভিড বেকহাম যে এখনো বহু মানুষের কামনার পাত্র!