বিপিএলে ম্যাচ পাতানোর চেষ্টা, ৬ বছর নিষিদ্ধ আফগান

ছয় বছর নিষিদ্ধ শফিকুল্লাহ। ছবি: আফগান ক্রিকেট বোর্ড টুইটার
ছয় বছর নিষিদ্ধ শফিকুল্লাহ। ছবি: আফগান ক্রিকেট বোর্ড টুইটার

২০১৯ বিপিএলে ম্যাচ পাতাতে এক সতীর্থকে ম্যাচ পাতানোর লোভ দেখিয়েছিলেন। ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত ছিলেন ২০১৮ সালের আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগেও (এপিএল)। আরও বেশ কিছু দুর্নীতি ও ম্যাচ পাতানোর চেষ্টার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) আনা সেসব অভিযোগ স্বীকারও করে নিয়েছেন আফগান উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান শফিকুল্লাহ। সব ধরণের ক্রিকেট থেকে আজ তাঁকে ৬ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে এসিবি।

সব মিলিয়ে এসিবির দুর্নীতি বিরোধী নীতিমালার চারটি ধারা ভেঙেছেন সর্বশেষ বিপিএলে সিলেট থান্ডারে খেলা ৩০ বছর বয়সী আফগান ক্রিকেটার–ঘরোয়া একটি ম্যাচ ফিক্সিংয়ের চেষ্টা, ঘরোয়া ম্যাচ ফিক্সিংয়ের উদ্দেশ্যে অবৈধ অর্থ নেওয়া বা দেওয়ার চেষ্টা করা, ঘরোয়া ম্যাচ ফিক্সিংয়ে সতীর্থকে প্ররোচিত করা ও দুর্নীতির প্রলোভনের প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে গোপন করা।

গত বছরের সেপ্টেম্বরের পর থেকে আন্তর্জাতিক ম্যাচে সুযোগ শফিকুল্লাহ পাননি বটে। তবে আফগানিস্তানকে ওয়ানডে স্ট্যাটাস এনে দিয়েছে যে দলটি, সে দলের অংশ ছিলেন। দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছেন। ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে আফগানিস্তানের জার্সিতে খেলেছেন ২৪টি ওয়ানডে ও ৪৬টি টি-টোয়েন্টি।

শফিকুল্লাহর শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে এসিবির জেষ্ঠ্য দুর্নীতি-দমন ব্যবস্থাপক সৈয়দ আনওয়ার শাহ কুরাইশি বলেছেন, 'জাতীয় দলের এত সিনিয়র একজন খেলোয়াড় ২০১৮ এপিএল টি-টোয়েন্টিতে গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচে দুর্নীতিতে জড়িত, এটা বেশ গুরুতর অপরাধ। ২০১৯ বিপিএলেও এই ক্রিকেটার এক সতীর্থকে দুর্নীতিতে জড়ানোর প্রলোভন দেখিয়েছিলেন, তবে ব্যর্থ হয়েছেন।'

তবে শফিকুল্লাহ সব অভিযোগ মেনে না নিলে আর এসিবির তদন্তে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি না দিলে তাঁর শাস্তি আরও অনেক বড় হতো বলেই জানিয়েছেন কুরাইশি। এ-ও জানিয়েছেন, নিজের ভুল থেকে তরুণ ক্রিকেটারদের শিক্ষা নিতে উদ্বুদ্ধ করতে এসিবির শিক্ষা প্রোগ্রামেও কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শফিকুল্লাহ।