করোনায় দেয়াল খুঁটে খেয়েছিলেন ক্ষুধায়

করোনার এ সময়টায় নিজেকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে চেষ্টা করছেন সবাই। ছবি: টুইটার
করোনার এ সময়টায় নিজেকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে চেষ্টা করছেন সবাই। ছবি: টুইটার

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে পৃথিবীতে অনেক কিছুই ঘটছে, যা আগে কখনো কল্পনা করা যায়নি। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতিগুলো ভেঙে পড়ছে। স্বাস্থ্যসেবায় এগিয়ে থাকা দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হতে। আর করোনা সংক্রমণ এড়াতে মানুষ যা করছে তার প্রভাব পড়ছে তাদের মানসিকতায়। তেমনই এক উদাহরণ দিলেন মারিও বালোতেল্লি।

ইতালিতে মার্চেই কোয়ারেন্টিন শুরু হয়েছে। এ সময়টায় ক্লাবে খেলার কারণে ব্রেসিয়াতে ছিলেন বালোতেল্লি। ইতালিয়ান ফরোয়ার্ডের পরিবার ছিল ইতালির অন্য শহরে। কিন্তু লকডাউন শুরু হওয়াতে সবাইকে নিজ নিজ স্থানে থেকে যেতে হয়েছে। দুই মাস ধরে একা থাকার ফলে মানসিক যে চাপ নিতে হচ্ছে, সেটার কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছেন বালোতেল্লি।

আগামী ১৩ জুন সিরি 'আ' মাঠে ফেরার কথা। ফুটবল শুরু হবে, এটা ভেবে আনন্দিত হওয়ার কথা ছিল ইতালিয়ান স্ট্রাইকারের। কিন্তু করোনার প্রভাবের পর এখন ফুটবল কীভাবে খেলবেন সে চিন্তায় পড়ে গেছেন। তাঁর মানসিক অবস্থা জানাতে বলেছেন করোনার প্রথম দিকে ক্ষুধার যন্ত্রণায় দেয়াল খুঁটে খাওয়ার চেষ্টাও করেছেন, 'আমি কোনো কিছু রান্না করতে পারি না। ফলে প্রথম কয়েকদিনে কার্ডবোর্ড খাওয়ার চেষ্টা করেছি। প্রথম তিন দিন দেওয়াল খুঁটে খাওয়ার চেষ্টা করেছি। ভাগ্যিস, এরপর খাবার আনানোর ব্যবস্থা করতে পেরেছি।'

এক মাসের মধ্যে পেশাদার ফুটবলে নামতে হবে। কিন্তু নিজেকে প্রস্তুত করতে হলে এখন অনেক পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ইনস্টাগ্রাম সতীর্থ আলেসান্দ্রো মাত্রিকে বলেছেন নিজের ফিটনেসের অবস্থা, 'আমাকে এখন বল পাস দিলে প্রথমবারে ধরতে পারব না। দুই মাসে আমি বল ধরিনি। ঘরে রানিং মেশিন না থাকলে ঠিকভাবে অনুশীলন করা যায় না। তাই বেআইনি হলেও আমি কাছের পার্কে গিয়ে দৌড়েছি একটু।'


পুরোপুরি প্রস্তুত না হলেও ফুটবল খেলার জন্য তর সইছে না বালোতেল্লির। কারণ, আটকে থাকতে থাকতে যে মানসিক চাপে পড়েছেন, সেখান থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় ফুটবল, 'গত কয়েক সপ্তাহে পাগল হয়ে গেছি, কারণ আমি পুরো একা। আমার মেয়ে নেপলসে, ছেলে জুরিখে। আমার মায়ের যে বয়স, তাতে তাঁকে সুরক্ষিত রাখতে হয়। আমার ভাইয়েরাও তাদের ছেলেমেয়ে নিয়ে কোয়ারেন্টিনে আছে। ফলে আমি একা পড়ে গিয়েছিলাম।'