ভারতের বিতর্কিত কোচ যেভাবে ধোনিকে ফিনিশার বানিয়েছেন

ধোনিকে ধোনি বানিয়েছেন কে? ছবি: টুইটার
ধোনিকে ধোনি বানিয়েছেন কে? ছবি: টুইটার
>মহেন্দ্র সিং ধোনির ফিনিশার হয়ে ওঠার পেছনে নিজের অবদান দেখছেন গ্রেগ চ্যাপেল।

ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের এক বিতর্কিত অধ্যায় হয়ে আছেন কোচ গ্রেগ চ্যাপেল। ২০০৫ সালে দুই বছরের মেয়াদে ভারত জাতীয় দলের কোচ করা হয়েছিল এই অস্ট্রেলিয়ানকে। বহু বিতর্ক সঙ্গে করে সাবেক এই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান বিদায় নিয়েছেন বিশ্বকাপের ব্যর্থতা গায়ে মেখে। তৎকালীন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে তাঁর 'সাপে– নেওলে' এর মতো সম্পর্ক হয়ে উঠেছিল ক্রিকেটের শিরোনাম।


তবে চ্যাপেল কোচ থাকা কালীন সময় থেকেই ভারতের ক্রিকেটে নতুন নায়ক হয়ে উঠতে শুরু করেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাট হাতে বিধ্বংসী হয়ে ম্যাচ শেষ করে মাঠ ছাড়ার জন্য পেয়ে যান 'মিস্টার কুল' তকমা। ধোনির 'সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাটসম্যান' হিসেবে হয়ে ওঠার পেছনে নিজের অবদান দেখেন চ্যাপেল। প্লেরাইট ফাউন্ডেশন আয়োজিত ফেসবুকে আলাপচারিতায় সেই দিনগুলোর কথা স্মরণ করেছেন ৭২ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলিয়ান। ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে ভারতীয় দলে অভিষেক হয় ধোনির। আর চ্যাপেল ২০০৫ সালের মে মাস থেকে ২০০৭ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ছিলেন ভারতের কোচ।


ওয়ানডেতে ধোনির ক্যারিয়ার সেরা ১৮৩ রানের ইনিংস। ২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪৫ বলে খেলেছিলেন সেই দুর্দান্ত ইনিংসটি। সেই ম্যাচর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন চ্যাপেল , 'আমাদের ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি সিরিজের সময় ওর সঙ্গে কথা হয়েছিল। ধোনি একটি ম্যাচে ১৮০ ( ১৮৩) রান করেছিল। সে ইনিংসে প্রচুর ৪ ও ৬ মেরেছিল। পরের ম্যাচটি ছিল পুনেতে। সে ম্যাচের আগে আলাপকালে বলেছিলাম প্রত্যেক বল মাঠের বাইরে পাঠানোর উদ্দেশ্য নিয়ে ব্যাট করার প্রয়োজন নেই। এতে ক্রিকেট ক্যারিয়ার দ্রুত শেষ হয়ে যেতে পারে। তোমার যখন নিচে শট নেওয়ার ক্ষমতা আছে, সব বল উড়িয়ে মারার প্রয়োজন নেই।' যদি এই পরামর্শ অনুযায়ী খেলতে পারে , তাহলে বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা ফিনিশার হয়ে উঠতে পারবেন বলেও ধোনিকে আশা দেখিয়েছিলেন চ্যাপেল।


পুনের ম্যাচে ধোনি যখন ব্যাটিংয়ে যায়, জয়ের জন্য ভারতের ৮০ বা ১০০ রানের প্রয়োজন ছিল । ধোনিকে চ্যাপেল বলে দিয়েছিলেন, 'দলের জয়ের জন্য সব রান যেন নিচে খেলে নেওয়া হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত ম্যাচ জয় নিশ্চিত না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত বল উড়িয়ে মারা যাবে না।'


সে ম্যাচে দ্বাদশ খেলোয়াড় ছিলেন আরপি সিং। ২০ রান বাকি থাকতে আরপি সিংয়ের মাধ্যমের চ্যাপেলের কাছে জানতে চেয়েছিলেন এখন ছয় মারার চেষ্টা করবেন কি না। পাল্টা আরপি সিংকে চ্যাপেল বলেছিলেন,' জয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত উড়িয়ে মারা যাবে না। যখন ৪ রান প্রয়োজন ছিল, সে ছয় মেরে ম্যাচ জিতিয়ে এনেছিল।'