লাখে লাখে উঠেছে মাশরাফির ব্রেসলেটের দাম

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ছবি: প্রথম আলো
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ছবি: প্রথম আলো

নিলামের শেষ সময় ছিল কাল রাত বাংলাদেশ সময় ১০টা ৪৫ মিনিটে। এরপর ফেসবুক লাইভে চূড়ান্ত দাম জানানোর কথা ছিল আয়োজক প্রতিষ্ঠান 'অকশন ফর অ্যাকশন'। কিন্তু কারিগরি ত্রুটিতে ঘন্টাখানেক দেরিতে শুরু হয় লাইভ। তবে শুরুর পর সঞ্চালকদের কথায় বোঝা গেছে, মাশরাফি বিন মুর্তজার ব্রেসলেট নিলামে ওঠা নিয়ে ভীষণ আগ্রহী ছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।

সঞ্চালক আরিফ আর হোসেন এক ভক্তের মন্তব্য পড়ে শোনান, ম্যাচের আগে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় যখন পেছনের দিকটা দেখা যায় তখন ভক্তরা এই ব্রেসলেট দেখেই মাশরাফিকে চিনে নেন। আজ থেকে এটা আর হবে না। এরপর সঞ্চালক বলেন, ব্রেসলেটটা মাশরাফির কাছে থেকে গেলেই হয়তো সবাই বেশি খুশি হবে। শেষ পর্যন্ত ঘটেছেও তাই। ৪২ লাখ টাকা মাশরাফির ব্রেসলেট বিক্রি হলেও তা 'উপহার'হিসেবে ফেরত পাবেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক।

মাশরাফির এই ব্রেসলেট নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে তুমুল আগ্রহ ছিল। সঞ্চালক জানান, এক নারী ভক্ত প্রতি আধঘন্টা পর পর ফেসবুক পেজে খোঁজ নিয়েছেন, দাম কত উঠল?দাম চড়লে খুশি হয়েছেন, না বাড়লে মন খারাপ করেছেন। মাশরাফির ১৮ বছরের 'সঙ্গী' এই ব্রেসলেট নিলামে ওঠার প্রথম ৬ থেকে ৭ ঘন্টায় দাম হাজারে বেড়েছে। ভিত্তি মূল্য ৫ লাখের সঙ্গে ২০ হাজার, ২৫ হাজার এভাবে।

সঞ্চালক আরিফ আর হোসেন কাল ফেসবুক লাইভে বলেন, 'কিন্তু আজ সকাল থেকে এটা (দাম) লাখের ওপর উঠেছে। সন্ধ্যা থেকে যদি দেখি, ইফতারের আগেও ছিল এটা ৭ লাখের মতো। ইফতার করে এসে জানলাম প্রায় সাড়ে ৮ লাখ, চা খেতে খেতে শুনলাম ৯ লাখ ২০ হাজার। কাপটা রাখতে রাখতে শুনলাম ১০ উঠে গেছে। তারপর আর অন্যদিকে তাকাতে হয়নি। এখন ১১, ১২, ১৩...এখন এটা ১৫ লাখ ৫০ হাজারে।' সঞ্চালক এ কথা বলতে বলতেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফোন দেন নিলামে আগ্রহী এক ব্যক্তি।

লাইভ অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মজা করে বলেন, অনুষ্ঠান শেষ হতে যত দেরি হবে দাম হয়তো তত বাড়বে। মাশরাফি এর মধ্যে লাইভে হাজির হয়ে কথা বলতে শুরু করেন। আলাপের শুরুতে দাম ১৬ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এর মাঝে লাইভে যোগ দেন মাশরাফির জাতীয় দলের সতীর্থ তামিম ইকবাল। তাঁর সঙ্গে আলাপের মাঝে দাম  একপর্যায়ে ১৮ লাখ থেকে ১৯ লাখ ৫০ হাজার, সেখান থেকে ২৩ লাখ।

আলাপচারিতার ফাঁকে উপস্থাপক জানান, এক ব্যবসায়ী মাশরাফির ব্রেসলেটের দাম হেঁকেছেন ৩০ লাখ টাকা। সেখান থেকে দাম ওঠে ৪২ লাখ টাকা। মাশরাফি জানান, নিলামে পাওয়া টাকা তিনি নড়াইল এবং তার বাইরের এলাকায় নিজের ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সেবামূলক কাজে লাগাবেন।