জুনে কি পারবেন তামিম-মুশফিকরা মাঠে ফিরতে

কবে মাঠে ফিরবেন তামিম-মুশফিকরা। ছবি: প্রথম আলো
কবে মাঠে ফিরবেন তামিম-মুশফিকরা। ছবি: প্রথম আলো

করোনা-বিপর্যয় কাটিয়ে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রিকেট ফেরাতে হলে কী কী করতে হবে, সেটির একটি নির্দেশিকা বা গাইডলাইন দিয়েছে আইসিসি। এই নির্দেশিকা তৈরিতে সদস্য হিসেবে সরাসরি যুক্ত ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। 

নিজেদের করোনা পরিস্থিতি, সরকারের নির্দেশনা, আইসিসির নির্দেশনা—সব কিছু মেনে ক্রিকেট বিশ্বের দু-এক জায়গায় শুরু হয়েছে বা হতে যাচ্ছে ক্রিকেটীয় কার্যক্রম। ক্রিকেট ফেরানোর চিন্তাভাবনা শুরু করছে বিসিবিও। তবে সেটি কবে, এখনই তা বলার উপায় নেই। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী আজ প্রথম আলোকে বললেন, 'আমরা যেমন বলছি এই পরিস্থিতিতে খেলাধুলা আগে নয়, জীবন আগে। আবার আমাদের (ক্রিকেট বোর্ডের) প্রেক্ষাপটে খেলাটা ফেরাও দরকার। আমাদের চিন্তাভাবনা আছে যত দ্রুত খেলাটা ফেরানো যায়। অবশ্যই সেটি বাস্তবতার নিরিখে। এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যেটা করলে মানুষ বলবে যে এটা ঠিক হয়নি।'
আইসিসির গাইডলাইন তৈরিতে যুক্ত ছিলেন বিসিবির সিনিয়র ফিজিশিয়ান দেবাশীষ চৌধুরী। তাঁর মতে, ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা যে নির্দেশনা তৈরি করেছে, সামনে সেটিই যে পুরোপুরি বহাল থাকবে, সেটি বলার সুযোগ নেই। একেক দেশের প্রেক্ষাপট একেক রকম। একেক দেশের করোনা পরিস্থিতিও একেক রকম। বাংলাদেশ ক্রিকেটে গাইডলাইনের কার্যকারিতা নিয়ে দেবাশীষ বললেন, 'কোনো কোনো দেশ আমাদের আগেই এটা শুরু করবে। আমাদের চেয়ে যাদের পরিস্থিতি ভালো, যেমন—অস্ট্রেলিয়া, এশিয়ায় শ্রীলঙ্কা। ওরা শুরু করার পর নিশ্চয়ই কিছু সমস্যা মোকাবিলা করবে। সেটা তারা আইসিসিকে জানাবে। জেনে আইসিসি নির্দেশিকায় কিছু পরিবর্তন আনতেও পারে। ওরা আগে শুরু করলে ওদের অভিজ্ঞতা বুঝে আমরা সে অনুযায়ী এগোতে পারব।'
আইসিসির গাইডলাইন অনুযায়ী যে তিনটি ধাপে ক্রিকেটে ফেরার কথা বলা হচ্ছে, প্রথমেই আছে অনুশীলন। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা কবে এই ধাপটা শুরু করতে পারবেন, সেটি অবশ্য এখনই বলার উপায় নেই। তবে দেবাশীষের অনুমান জুনের মাঝামাঝিতে যদি করোনা পরিস্থিতি ভালো হয়, মাঠে অনুশীলনের আশা উড়িয়ে দেওয়া যায় না, 'দেশে এখন করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। আগে এটা নামতে হবে, গ্রাফটা সমান হতে হবে। শ্রীলঙ্কা সফরটা এখনো বাতিল হয়নি। জুলাইয়ের তৃতীয় কিংবা শেষ সপ্তাহে যদি সফরটা হয়ও, আমাদের খেলোয়াড়দের তৈরি হতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগবে। সে হিসেবে জুনের মাঝামাঝি সময়ে অনুশীলন শুরু করা উচিত। সব কিছু নির্ভর করছে দেশের পরিস্থিতির ওপর।'

তবে বিসিবি কিছুতেই ঝুঁকি নেবে না। মাঠে অনুশীলন শুরু করতে আইসিসির নির্দেশনা তো সামনে আছেই। বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলছেন, ছোট পরিসরে তাঁরা প্রস্তুতির কাজ শুরুও করে দিয়েছেন, 'আইসিসির এই নির্দেশনার ওপর যতটুকু প্রস্তুতি নিয়ে রাখা যায় সেটি আমরা নেব। এর অংশ হিসেবে যার যার মতো খেলোয়াড়েরা ফিটনেস অনুশীলন করছে (বাসায়)। গত সপ্তাহে তাদের বলা হয়েছে, কতটা কাজ হয়েছে সেটির মূল্যায়ন করে আমাদের কাছে যেন রিপোর্ট পাঠায়। আমরা এভাবে এগোচ্ছি।'