মেসিদের ফেরার দিন ঠিক করে দিলেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী  পেদ্রো সানচেজ। ছবি: এএফপি
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। ছবি: এএফপি

জার্মান বুন্দেসলিগা মাঠে ফিরেছে এক সপ্তাহেরও বেশি হয়ে গেল। এরই মধ্যে দলগুলো এক-দুটি করে ম্যাচ খেলেছে। দর্শকশূন্য মাঠে ফুটবলের বাইরেও ‘প্রাণ’ ফেরানোর নতুন নতুন পদ্ধতিরও দেখা এরই মধ্যে মিলেছে। আজ যেমন, নিজেদের মাঠে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ম্যাচে গ্যালারিতে বড় বড় ব্যানার দিয়ে খালি আসনগুলো ঢেকে দিয়েছে ভলফসবুর্গ, আলাদা শব্দযন্ত্রের মাধ্যমে হাজারো দর্শকের চিৎকার-চেঁচামেচি শোনানোর ব্যবস্থাও করেছে। তাতে অবশ্য মাঠের ফলে তেমন লাভ হয়নি, দুই অর্ধে রাফায়েল গেরেরো ও আশরাফ হাকিমির গোলে ম্যাচটা ২-০ ব্যবধানে জিতেছে ডর্টমুন্ড।

তা জার্মান লিগ ফিরেছে, ইংলিশ লিগ জুনে ফেরার তোড়জোর চলছে। ইতালিয়ান লিগও ১৩ জুন ফেরাতে সব ক্লাব মত দিয়েছে, এখন শুধু সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষা। বাকি ছিল স্প্যানিশ লিগ, সেটিরও ফেরার সম্ভাব্য তারিখ জানা গেল আজ। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ জানিয়ে দিয়েছেন, ৮ জুন মাঠে ফিরবে লা লিগা। মেসি-বেনজেমাদের দেখার অপেক্ষা ফুরোচ্ছে।

এর আগে স্প্যানিশ লিগের প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের তেবাস ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ১২ জুন রিয়াল বেতিস ও সেভিয়ার মধ্যে ‘সেভিল ডার্বি’ দিয়ে ফিরতে পারে স্প্যানিশ লিগ। কিন্তু এ-ও বলে দিয়েছিলেন, সব নির্ভর করছে সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর। সরকারের সিদ্ধান্তে তারিখটা আরও এগোলো।

প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজকে উদ্ধৃত করে স্প্যানিশ ক্রীড়াদৈনিক মার্কা লিখেছে, ‘যা করা দরকার ছিল, স্পেন সেটা করেছে। এখন সবার জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে। প্রতিদিনের অনেক কার্যক্রম ফেরানোর সময় চলে এসেছে। ৮ জুন থেকে লা লিগা মাঠে ফিরতে পারবে।’

করোনাভাইরাসের কারণে গত মার্চে স্থগিত হয়ে যাওয়ার আগে লিগে সব দলের ২৭টি করে ম্যাচ শেষ হয়েছে। তাতে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ছিল বার্সেলোনা, ২ পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় রিয়াল মাদ্রিদ। তিনে থাকা সেভিয়ার পয়েন্ট ৪৭, এক পয়েন্ট কম নিয়ে চারে রিয়াল সোসিয়েদাদ। সমান পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে এই মৌসুমের চমক গেতাফে। ছয়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, ডিয়েগো সিমিওনের দলের পয়েন্ট ৪৫।

করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে বিশ্বে চতুর্থ স্পেন। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত স্পেনে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২ লাখ ৮২ হাজার মানুষ। প্রাণ হারিয়েছেন ২৮ হাজার ৬ শ-রও বেশি।