এই ঈদে মাশরাফির অনুরোধ

বাংলাদেশের মানুষকে ঘরেই এবারের ঈদ পালনের অনুরোধ মাশরাফির। ছবি: প্রথম আলো
বাংলাদেশের মানুষকে ঘরেই এবারের ঈদ পালনের অনুরোধ মাশরাফির। ছবি: প্রথম আলো

এবারের ঈদটা অন্যরকম। কোনো জমায়েত, রাস্তার ধারে জমায়েত, আড্ডা, কোলাকুলি – সবকিছুই নিষেধ করা হচ্ছে। সময়টাই যে এমন! করোনাভাইরাসকে বাড়ির বাইরে রাখতে ঈদের দিনটাতেও ঘরে থাকাই সবচেয়ে ভালো উপায়। মাশরাফি বিন মুর্তজাও তেমন অনুরোধই করছেন। বাংলাদেশের কিংবদন্তি অধিনায়কের অনুরোধ, নিজের প্রয়োজনেই এবারের ঈদটা ঘরেই পালন করুন। 

এবার ঈদে তাঁর আলাদা পরিকল্পনা কী? প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে মাশরাফি যেন এ ক্ষেত্রে কিছুটা নির্বিকার। বললেন, ‘ঈদের পরিকল্পনা তো একটা বয়সের পর তেমন কিছু থাকে না। পরিবারকেন্দ্রিক হয়ে যায়। সেটা অনেক আগে থেকেই আমার শুরু হয়েছে গেছে, ছেলে মেয়ে হওয়ার পর। আর এখন এলাকায়ও আমার একটা চাহিদা আছে।‘
তা তো বটেই। ক্রিকেটার, কারও বাবা, কারও স্বামী, কারও সন্তান – এমন সব পরিচয়ের পাশাপাশি মাশরাফির তো এখন আরেকটা পরিচয়ও আছে। সংসদ সদস্য। একে তো ঈদ, তারওপর এবার করোনায় মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। কিন্তু মাশরাফি এবার তাঁর এলাকা নড়াইলে মানুষের কাছে যেতে পারছেন না। কেন? মাশরাফির ব্যাখ্যা, ‘এবার আমি যেতে পারছি না। যেহেতু করোনাভাইরাস। আমি গেলেই অনেক মানুষ জমায়েত হয়ে যায়। এই মুহুর্তে এটার একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সবারই খারাপ লাগছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতিটাই ওইরকম।‘
পরিস্থিতিটা তো সবার জন্যই একইরকম। বন্ধুবান্ধব, পরিবারের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ এবার কই? আনন্দ খুঁজে নিতে হবে ঘরের ভেতরেই। মাশরাফিরও অনুরোধ, ‘ঈদে ঘরে সবাই মিলে একটা ভালো দিন কাটানো ছাড়া আর কিছু বলার বা করার সুযোগ নেই। সবাই এভাবে চিন্তা করুক। কারণ এবারের ঈদটা আসলে এরকমই। সবার ভালোই জন্যই এই ঈদটা এভাবে করতে হচ্ছে। আমরা তো পরিবারের সঙ্গেই থাকছি। যেই আনন্দটা ঘুরতে গিয়ে করতাম, সেটা ঘরের ভেতর করছি। এখনো ঘরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।‘
লকডাউন উপেক্ষা করেও এই করোনার মধ্যেই মানুষ ঘর ছেড়ে বেরোচ্ছেন। কেউ বা গেছেন ঈদের শপিংয়ে, কাউকে হয়তো বের হতে হয়েছে পেটের তাড়নায়। অভাবগ্রস্ত মানুষের হয়তো আর কোনো উপায় নেই, কিন্তু যাঁদের ঘর থেকে বের না হলেও চলে, তাঁদের ক্ষেত্রে? মাশরাফির অনুরোধটা যদি তাঁদের ভাবনার জগতে বদল আনে, ‘সামনে আরও ঈদ পেতে পারি। এখন গুরুত্বপূর্ণ হলো এই ভাইরাসে আক্রান্ত না হওয়া। কারণ প্রতিদিন যে ১৫-২০ জন মারা যাচ্ছে, এদের মধ্যে আপনি-আমি যে কোনো একজন হতে পারি। তাই আমাদের পরিবারের সঙ্গে থেকে ঘরে ঈদ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।‘