'ধারাভাষ্যেও মাতাবেন অমিভাত-শাহরুখ'

রূপালি পর্দার মতো ধারাভাষ্য কক্ষও মাতাতে পারবেন শাহরুখ-অমিতাভ। ফাইল ছবি
রূপালি পর্দার মতো ধারাভাষ্য কক্ষও মাতাতে পারবেন শাহরুখ-অমিতাভ। ফাইল ছবি

শুধু কী খেলোয়াড়দের কারণেই খেলা দেখা এত আনন্দের? বিশেষ করে প্রসঙ্গ যখন আসে টিভিতে খেলা দেখার! 

খেলোয়াড়েরাই মূল কারণ, তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। কিন্তু টিভিতে কতটা ভালোভাবে খেলাটা দেখা যাচ্ছে, খেলাটা কতটা আকর্ষণীয় হচ্ছে, সেসবের পাশাপাশি আরেকটি পক্ষ টিভিতে একটা ম্যাচ দেখার অনুভূতিকে আরও রঙিন করে তোলেন–ধারাভাষ্যকার। ক্রিকেটে রিচি বেনো, হার্শা ভোগলে কিংবা ২০১৯ বিশ্বকাপেই সেমিফাইনাল-ফাইনালে ধারাভাষ্যকক্ষে বাড়তি রঙ যোগ করা ইয়ান স্মিথ...ক্রিকেটভক্তমাত্রই এই কিংবদন্তি ধারাভাষ্যকারদের কণ্ঠ হয়তো স্মৃতিতে বাজছে। ফুটবলেও যেমন পিটার ড্রিউরি, জন চ্যাম্পিয়নদের মতো ধারাভাষ্যকার থাকা মানে ম্যাচে বাড়তি রঙ যোগ হওয়া। যেন ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্ত তাঁরা প্রাণে ধারণ করেন।
তা সাধারণত তো সাবেক ক্রিকেটার-ফুটবলাররাই এখন ধারাভাষ্যকক্ষে আসেন। এর বাইরে হার্শা ভোগলের মতো না খেলেও ধারাভাষ্যকার বনে যাওয়ার উদাহরণ হাতে গোনা। তা হার্শা তো তবু ক্রিকেটে বাঁচেন, ক্রিকেট সাধেন। এঁদের বাইরে অন্যভূবন থেকেই যদি ধারাভাষ্যকার করা হয় কাউকে, কেমন হবে?
প্রশ্নটা করা হয়েছিল সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়াকে। বলিউড অভিনেতাদের মধ্যে কে ক্রিকেটে ধারাভাষ্যকার হিসেবে ভালো করবেন? উত্তরে দুই বলিউড কিংবদন্তিকেই বেছে নিয়েছেন আকাশ – অমিতাভ বচ্চন ও শাহরুখ খান!

ইউটিউবে আরকে শো নামের এক অনুষ্ঠানে আলাপে প্রশ্নটা আসতেই আকাশ চোপড়ার উত্তর, 'অমিতাভ বচ্চন আর শাহরুখ খানকেই বেছে নিতে হবে। ধারাভাষ্য স্বতঃস্ফূর্ত হতে হয়। ভারতে রূপালি পর্দায় অনেক অভিনেতাকেই হয়তো দেখবেন অনেক সাবলীল অভিনয় করছেন, কিন্তু ধারাভাষ্যের মতো মুহূর্তের মধ্যে কিছু বলতে বলার ক্ষেত্রে তাঁরা আর পারেন না। এসআরকে (শাহরুখ) আর অমিতজি (অমিতাভ) যে চ্যালেঞ্জ দেবেন, তা-ই করতে পারেন। দারুণ ধারাভাষ্যকার হতে পারেন তাঁরা দুজন।'

করোনাভাইরাসের কারণে সব খেলাই বন্ধ। ক্রিকেটাররা এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই বেশি সরব। আকাশ চোপড়া তো আগে থেকেই ইউটিউবে, টুইটারে অনেক সরব। কখনো বিশ্লেষণ, তো কখনো খেলা নিয়ে কোনো মত দিয়ে। তা সম্প্রতি নিজের পছন্দের একটা দল বানিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির ভক্তদের কাছে রীতিমতো অনলাইনে নিগৃহীত হয়েছেন চোপড়া।
তাঁর চোখে ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত দল কেমন হতে পারে – সেই হিসেবে একটা দল বানিয়েছিলেন চোপড়া। তাতে ধোনিকে রাখেননি। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকেই তো আন্তর্জাতিক মঞ্চে অনুপস্থিত সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক, সে কারণেই হয়তো। যদিও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর আইপিএল দিয়ে তাঁর ফেরার গুঞ্জন ছিল। সেই ধোনিকেই তাঁর দলে না রাখায় আকাশকে অনলাইনে আক্রমণ করেন ধোনি-ভক্তরা। এমনই যে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকাউন্টগুলোই কিছুদিন বন্ধ রেখেছিলেন আকাশ।
'মানুষ এত গালি দিচ্ছিল! তাঁরা আমার সন্তানদের নিয়েও খারাপ ভাষায় কথা বলছিল। আমি তখন বললাম, ভাই, আমাকে মাফ করুন। যা হয়েছে, তা হয়ে গেছে' – বললেন আকাশ।