বিশ্বকাপে সেই ম্যাচে ভারত ইচ্ছে করে হেরেছিল?

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ধোনির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। ছবি: এএফপি
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ধোনির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। ছবি: এএফপি

সে ম্যাচে ভারতের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা উপমহাদেশ। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। ভারত জিতলে এ তিনটি দলের সেমিফাইনালে ওঠার আশাও টিকে থাকত। ভারত ম্যাচটা ৩১ রানে হেরে হতাশ করেছিল। 

খেলায় হার-জিত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ভারত যেভাবে ম্যাচটা হেরেছিল, তা দৃষ্টিকটু লেগেছে অনেকের কাছেই। পাকিস্তানের সাবেক পেসার ওয়াকার ইউনিস প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরাট কোহলিদের 'খেলোয়াড়ি চেতনা' নিয়ে। অবাক হয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী আর নাসের হুসেইনও।


ইংল্যান্ডের জন্য ম্যাচটি ছিল বাঁচা-মরার লড়াই। ৭ উইকেটে ৩৩৭ রান তুলেছিল স্বাগতিকরা। এ ম্যাচে কোহলি ও রোহিতের রান তাড়ার ধরনকে 'রহস্যময়' মনে হয়েছে বেন স্টোকসের। আর মহেন্দ্র সিং ধোনির নাকি রান তাড়ার 'কোনো ইচ্ছাই ছিল না।' নিজের নতুন বই 'অন ফায়ার'-এ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের প্রতিটি ম্যাচ বিশ্লেষণ করেছেন স্টোকস। সেখানেই এমন মন্তব্য করেছেন গত বিশ্বকাপজয়ী এ ইংলিশ অলরাউন্ডার।


সে ম্যাচে দ্বিতীয় উইকেটে ১৫৫ বলে ১৩৮ রানের জুটি গড়েন রোহিত-কোহলি। প্রায় সাড়ে তিন শ রান তাড়া করতে নেমে এ উইকেট জুটিতে দুজনের ব্যাটিং 'রহস্যময়' লেগেছে স্টোকসের কাছে। ১০৯ বলে ১০২ রান করেন রোহিত। ৭৬ বলে ৬৬ রান করেন অধিনায়ক কোহলি।
দুজনের ব্যাটিং নিয়ে বইয়ে স্টোকস লিখেছেন, 'যেভাবে ওরা ব্যাট করেছে সেটি রহস্যময়। আমরা ভালো বল করেছি ঠিকই কিন্তু ওরা যেভাবে ব্যাট করেছে তা অদ্ভুত ছিল। দলকে খেলা থেকে পিছিয়ে দিয়েছে ওরা। আমাদের ওপর চাপ তৈরির কোনো ইচ্ছাই যেন ছিল না।'


বার্মিংহামে সে ম্যাচ শেষে একটি অজুহাতও তুলেছিলেন কোহলি। মাঠের এক পাশের সীমানা 'মাত্র ৫৯ মিটার।' স্টোকসের কাছে অভিযোগটি ভীষণ অদ্ভুত এবং 'ঘ্যানঘ্যানানি'র মতো লেগেছে। 'ম্যাচ শেষে মাঠের সীমানা নিয়ে কোহলির ঘ্যানঘ্যানানি খুব অদ্ভুত লেগেছে। এমন অদ্ভুত কথা ম্যাচ শেষে কখনো শুনিনি। আসলে এর চেয়ে বাজে অভিযোগ আর হয় না' - প্রকাশ হওয়া বইয়ে লিখেছেন স্টোকস।


সে ম্যাচে ধোনির খেলার ধরন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্টোকস। ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ফিনিশার ৩১ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত ছিলেন। স্টোকসের বিশ্লেষণ, '১১ ওভারে ১১২ রান দরকার - এমন সময়ে ধোনি এসেছে উইকেটে। ওর ব্যাটিং ছিল আরও বেশি অদ্ভুত। ছক্কা মারার চেয়ে এক-দুই রান করে নিতেই বেশি মনোযোগী ছিল। অনেক বল বাকি ছিল, ভারত জিততেও পারত। ধোনি কিংবা তার সতীর্থ কেদার যাদবের খুব কম কিংবা কোনো ইচ্ছাই ছিল না (জয়ের)।'