রশিদ লতিফের আরেকটি 'প্রতারণা'র গল্প

রশিদ লতিফ। ফাইল ছবি
রশিদ লতিফ। ফাইল ছবি

পাকিস্তানের ক্রিকেটের 'বিবেক' বলা হয় রশিদ লতিফকে। ম্যাচ পাতানো, স্পট ফিক্সিং ও আরও নানা বিষয় নিয়ে সবসময়ই সোচ্চার পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক। তবে ২০০৩ সালে সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সেই লতিফকে বিদায় নিতে হয়েছিল কলঙ্ক গায়ে মেখে।

মুলতান টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে অভাবনীয় এক কাণ্ড করেছিলেন এই উইকেটকিপার। অলক কাপালির ব্যাট ছুঁয়ে যাওয়া বল মাটি থেকে তুলে ক্যাচের আবেদন করেন পাকিস্তান অধিনায়ক। আবেদনে সাড়া দিয়ে আউট দিয়ে দেন আম্পায়ার। জয়ের খুব কাছে গিয়েও ইনজামাম–উল–হকের চওড়া ব্যাটের কাছে সেই টেস্টে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ।

ম্যাচের পর বাংলাদেশের আবেদনে সাড়া দিয়ে 'প্রতারণা'র দায়ে লতিফকে ৫ ম্যাচ নিষিদ্ধ করেন ম্যাচ রেফারি মাইক প্রক্টর। ওই ঘটনার পর অধিনায়কত্ব খোয়ানো রশিদ পরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলার পর আর সুযোগ পাননি জাতীয় দলে।

সেই লতিফ এবার ক্রিকেট মাঠে আরেকটি 'প্রতারণা'র দায় স্বীকার করলেন। এবারের ঘটনাটা মুলতান–কাণ্ডের ৭ বছর আগের। ১৯৯৬ সালে শারজায় ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের ঘটনা এটি। ওয়ানডেতে মাত্র তৃতীয়বার খেলতে নেমেছিলেন তরুণ রাহুল দ্রাবিড়। পাকিস্তানি লেগ স্পিনার মুশতাক আহমেদের কট বিহাইন্ডের আবেদনে সাড়া দিয়ে দ্রাবিড়কে আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। ম্যাচ শেষে দ্রাবিড় নাকি লতিফকে জিজ্ঞেস করেছিলেন তিনি আউট ছিলেন কি না। 'না' শব্দটাই নাকি বলেছিলেন লতিফ।

'কট বিহাইন্ড' নামের এক ইউটিউব শো-তে সেদিনের স্মৃতিচারণ করেছেন পাকিস্তানের জার্সিতে ১৬৬টি ওয়ানডে খেলা লতিফ, 'ওরা (ভারত) শারজায় আমাদের বিপক্ষে খেলছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাহুল (দ্রাবিড়) কট বিহাইন্ড হলো। মুশতাক জোরালো আপিল করেছিল। আমরাও সঙ্গে গলা মেলাই। তাঁকে আউট দিয়ে দেওয়া হয়। ম্যাচ শেষে দ্রাবিড় আমাকে জিজ্ঞেস করে, ''আমি কী আউট ছিলাম?'' উত্তরে আমি বলি ''না, ভাই। মুশতাক একটু বেশিই আপিল করে।'

কী সরল স্বীকারোক্তি! ভাগ্যিস, দ্রাবিড়রা ওটাকে খেলার অংশ হিসেবেই নিয়েছিলেন। নইলে লতিফের ক্যারিয়ার আরও আগে শেষ হতো কি না কে জানে!