ইংল্যান্ডে খেলতে রাজি ওয়েস্ট ইন্ডিজও

ইংল্যান্ডের নেওয়া ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ইংল্যান্ডের নেওয়া ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজ

করোনাভাইরাসের কারণে পহেলা জুলাই পর্যন্ত ইংল্যান্ডে খেলাধুলা নিষিদ্ধ। পুরো গ্রীষ্মের ক্রিকেটই তাই ভেসে যাওয়ার ভয় ছিল। কিন্তু প্রথমে পাকিস্তান ও এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ রক্ষা করল ইংলিশদের। দুইদলই ইংল্যান্ড সফরে রাজি হওয়ায় ইংলিশ গ্রীষ্মের শেষের দিকে ঠিকই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠে গড়াতে যাচ্ছে। 

জুলাই মাসের শেষের দিকে ইংল্যান্ডে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি খেলতে আগেই রাজি হয়েছে পাকিস্তান। কাল ওয়েস্ট ইন্ডিজও সম্মতি জানিয়েছে ইংল্যান্ড সফরে যাওয়ার ব্যাপারে। জুলাই মাসে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তিনটি টেস্ট খেলবে দুই দল। তার আগে জুনেই ইংল্যান্ডে চলে যাবে জেসন হোল্ডারের দল। শুরুতে কোয়ারেন্টিন ও অনুশীলনে তিন সপ্তাহ কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরবে ক্যারিবিয় ক্রিকেটাররা।
কিছুদিন আগেও ইংল্যান্ড সফরের ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী ছিল না ক্যারিবিয়রা। তবে ইসিবির নতুন পরিকল্পনায় সফরে যেতে সাহস পাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কলিন গ্রেভ ক্রিকইনফোকে বলেছেন, 'ইসিবি তাদের নতুন পরিকল্পনায় বেশ আত্মবিশ্বাসী। আমাদের মেডিকেল টিমও ওদের নতুন পরিকল্পনা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। সংশ্লিষ্ট সবাই পরিস্কার ধারণা পাচ্ছে ইংল্যান্ডে ৭ সপ্তাহের জন্য ক্রিকেট খেলতে গেলে সেটা কেমন হবে।'
তিন টেস্টের সিরিজের জন্য সাউদাম্পটন ও ম্যানচেস্টারকে সম্ভাব্য জৈব নিরাপদ ভেন্যু হিসেবে বেছে নেওয়া হতে পারে। মাঠে দুই দলের সংশ্লিষ্টদের বাইরে ২০০-২৫০ জন মানুষের উপস্থিতিতে খেলা পরিচালনা করার চেষ্টা করা হবে। প্রতিনিয়ত ক্রিকেটারদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হবে।
ওদিকে করোনাভাইরাসের কারণে নিয়মিত ক্রিকেটীয় কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ক্যারিবিয় ক্রিকেট বোর্ডকে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। সে ক্ষতি সামাল দিতে আগামী জুলাই থেকে কর্মীদের বেতনের ৫০ ভাগ কেটে রাখা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।