শচীনদের 'মশকরা'র কারণে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিচ্ছিলেন সৌরভ

ভুল বুঝে অধিনায়কত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন সৌরভ। ফাইল ছবি
ভুল বুঝে অধিনায়কত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন সৌরভ। ফাইল ছবি
>‘এপ্রিল ফুল’-এর কারণে আরেকটু হলে বোকা বনে যেতেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সমর্থকেরা!

ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম যুগান্তকারী অধিনায়ক বলে মানা হয় বর্তমান বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীকে। অনেকের মতেও মহেন্দ্র সিং ধোনি ও বিরাট কোহলির সাফল্যের ভিত গড়ে দিয়েছেন কলকাতার ‘দাদা’। অধিনায়কত্বের পিচে বারবার মুখোমুখি হয়েছেন বিতর্কের বিভিন্ন বাউন্সারে, কিন্তু কখনো কাবু হননি। তবে আরেকটু হলে নিজের সতীর্থদের কারণেই অধিনায়কত্ব ছাড়তে হত সৌরভকে!

চমকে যাওয়ার মতো খবরটা জানিয়েছেন সৌরভ নিজেই। আর এই ‘ঘটনা’র পেছনে মূল কুশীলব ছিলেন শচীন টেন্ডুলকার, হরভজন সিংয়ের মতো তারকারা।


সেবার একদমই রান পাচ্ছিলেন না সৌরভ। ফলে দলের ওপর প্রভাবও পড়ছিল বেশ। সৌরভ নিজেও বুঝছিলেন, ব্যাটে নিয়মিত রান না এলে টলে যাবে অধিনায়কত্বের মসনদ। মন ছিল বিক্ষিপ্ত। এই অবস্থায় একদিন হুট করে সতীর্থরা খবরের কাগজ নিয়ে এলেন ড্রেসিংরুমে। যাতে লেখা ছিল, সৌরভ মিডিয়ার সামনে সতীর্থদের দুষেছেন। বলেছেন, দলের খারাপ পারফরম্যান্সের পেছনে শচীন-দ্রাবিড়দের দলগত ব্যর্থতাই দায়ী। পরেরটা শুনুন সৌরভের ভাষ্য থেকেই, ‘এমনিতেই রান পাচ্ছিলাম না। সেদিন ড্রেসিংরুমে যখন ঢুকলাম, সবাই আমাকে প্রশ্ন করা শুরু করল। পত্রিকা দেখিয়ে কৈফিয়ত চাইল, কেন আমি মিডিয়ার সামনে ওসব বলেছি। যা কি না আমি কখনোই বলিনি। বিশেষ করে শচীন ও হরভজন। ওরা বলল, আমার বক্তব্যে খুব হতাশ হয়েছে।’


সতীর্থদের কথা শুনে সৌরভ সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন, দাবির সত্যতা থাকলে তিনি পত্রপাঠ অধিনায়কত্ব থেকে বিদায় নেবেন, ‘আমি ওদের বললাম, তোমরা যদি মনে করো যে না আমি এ কথা বলেছি ও আমি ভুল করেছি, তাহলে বলো, আমি এখনই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিচ্ছি। অন্য কেউ এসে আমার কাছ থেকে অধিনায়কত্ব নাও তাহলে। এই বলে আমি আমার চেয়ারে বসে পড়ি। কিছুক্ষণ পরে দেখি সবাই হো হো করে হাসিতে ফেটে পড়ল। হরভজন লাফাতে লাফাতে বলল, ‘‘এটা এপ্রিল ফুলের প্র্যাঙ্ক ছিল!’’
তবে সৌরভ মানেন, ঘটনাটা তাঁকে নতুন করে শিক্ষা দেয়, যে দল তাঁকে কতটা ভালোবাসে। যা তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করেছিল।