করোনা নেইমারদের দাম কমিয়ে দিচ্ছে আরও

করোনা ভাইরাস বড় তারকাদের মূল্যও কমিয়ে আনছে। ফাইল ছবি
করোনা ভাইরাস বড় তারকাদের মূল্যও কমিয়ে আনছে। ফাইল ছবি

কিলিয়ান এমবাপ্পের দাম কত? সত্যিকারের বাজারমূল্য পিএসজি আর তাঁকে কিনতে চাওয়া দলই ঠিক করে নেবে। তবে দলবদলের তথ্যের জন্য বিখ্যাত ট্রান্সফারমার্কেট তাঁর মূল্য ধরেছে ১৮০ মিলিয়ন। তবে আর্থিক পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান কেপিএমজি আরেকটু কমিয়ে এনেছে অংকটা। তাদের ধারণা, পিএসজি যেহেতু এ মৌসুমে আর লিগে মাঠে নামছে না, তাতে এমবাপ্পের মূল্য ১৭৭ মিলিয়ন ইউরোতে নেমে আসবে। নেইমারের  মূল্য হবে ১৩৭ মিলিয়ন!

আগামী মৌসুমেই ২৫০ মিলিয়ন বা ২৫ কোটি ইউরো মূল্যে নাকি রিয়াল মাদ্রিদে আসার কথা প্রায় পাকাপাকি হয়ে গিয়েছিল এমবাপ্পের। কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পর ফুটবলারদের জন্য অমন আকাশচুম্বী দাম পাওয়ার কথা ভুলে যেতে হবে সবাইকে।

ইউরোপের সব লিগ স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সংসদের ফ্রেঞ্চ সদস্য ড্যানিয়েল কন-বেন্ডিট বলেছিলেন, কোভিড-১৯ এর প্রভাবে ইউরোপের সব লিগ যদি বাতিল হয়ে যায়, তবে সে ধাক্কা সামলে নিয়ে কোনো দলের পক্ষেই আর দলবদলে বড় অঙ্ক খরচ করা সম্ভব হবে না। এমবাপ্পের মূল্যই নাকি মাত্র ৪০ মিলিয়ন ইউরোতে নেমে আসবে। এবং সেটা খরচ করার মতো ক্লাবও নাকি থাকবে না।

ফুটবল লিগগুলো চালু হয়ে যাচ্ছে আবার। এমন অবস্থায় কেপিএমজি নতুন এক তথ্য দিল। এক গবেষণার মাধ্যমে করোনার ফলে দলবদলের বাজারে খেলোয়াড়দের বর্তমান মূল্য জানাল তারা। করোনার আগেও তারা এমবাপ্পের মূল্য ধরেছিল ২২৫ মিলিয়ন ইউরো। কিন্তু এখন সেটা নেমে এসেছে ১৭৭ মিলিয়ন ইউরোতে। আর যদি লিঁও ও অন্যান্য ক্লাবের আইনি চেষ্টায় আবার লিগ ওয়ান মাঠে গড়ায়, সে ক্ষেত্রে এমবাপ্পের মূল্য বেড়ে ১৮৮ মিলিয়ন ইউরো হবে।

 গত দলবদলে বহু চেষ্টার পরও নেইমারকে আনতে পারেনি বার্সেলোনা। ১০০ মিলিয়ন ইউরোর সঙ্গে আরও বেশ কিছু খেলোয়াড় বদল করেও তারা পিএসজিকে রাজি করাতে পারেনি। কেপিএমজির হিসেব সে ক্ষেত্রে বার্সেলোনাকে সুখবর দিচ্ছে। কারণ লিগ চালু না হলে নেইমারের মূল্য ১৩৭ মিলিয়ন ইউরোতে নেমে আসবে বলে ধারণা কেপিএমজির। যেটা করোনার আগে ১৭৫ মিলিয়ন ইউরো ছিল।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা ও বুন্দেলিগার বর্তমান মৌসুম শেষ হবে বলেই মনে হচ্ছে। ফুটবল পুনরায় ফিরলেও খেলোয়ারদের মূল্য ঠিকই কমে এসেছে। ফলে লিগ শেষ হলেও রাহিম স্টারলিংয়ের মূল্য ১৩৪ মিলিয়নে (পূর্বে ১৫০) নেমে এসেছে।

তবে মূল্য সবচেয়ে বেশি কমেছে মেসির। করোনার পূর্বে মেসির মূল্য ১৭৫ মিলিয়ন ধরেছিল কেপিএমজি। সেটা এখন ১৩৪ এ নেমে এসেছে। আর কোনো কারণে লা লিগা শুরু না হলে তা ১২৭ মিলিয়ন ধরা হবে। লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহর ক্ষেত্রেও সেটা ১৫৫ থেকে ১২৪ এ নেমে আসবে।

 চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের বলেই হয়তো মূল্য কমায় মেসির পরই আছেন রিয়ালের এডেন হ্যাজার্ড। ১৩৬ মিলিয়ন ইউরো থেকে এক ধাক্কায় ১০১ মিলিয়ন হয়ে গেছে সেটা। আর যদি লিগ শেষ না হয়? সেটা ৯৬ মিলিয়ন ইউরোতে নেমে আসবে।