নিষিদ্ধ না হয়ে যা ইচ্ছে কর, ইশান্তকে কোহলি

ইশান্ত শর্মা
ইশান্ত শর্মা
>ভারতীয় ফাস্ট বোলার ইশান্ত শর্মাকে নিষিদ্ধ না হয়ে যা ইচ্ছে তা করার সবুজ সংকেত দিয়েছেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি

গত কয়েক বছর ধরেই দেশে ও দেশের বাইরে দুর্দান্ত ধারাবাহিক ভারতীয় বোলিং আক্রমণের প্রত্যেকেই। আর ভারতীয় পেস আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অভিজ্ঞ ইশান্ত শর্মা। অধিনায়ক বিরাট কোহলিরও পুরো আস্থা ইশান্তে। দুজনই দিল্লীর ছেলে। বয়স ভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই খেলছেন একই সঙ্গে। দুজনের বোঝাপড়াটাও দারুণ। হয়তো সেজন্যই কোহলির অধিনায়কত্বের সময় ক্যারিয়ারের সেরা ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন ফাস্ট বোলার ইশান্ত। 

মাঠে অধিনায়ক হিসেবে বেশ আক্রমণাত্মক হলেও সতীর্থদের এক একজনকে অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চান কোহলি। 'ক্ষমতায়ন' কোহলির অধিনায়কত্বের বড় ভিত্তি। যেমন ফাস্ট বোলিং বিভাগের কাজটা তিনি ইশান্তের ওপর ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে থাকেন। ইশান্তের কাজটা ইশান্তকেই নাকি করতে দেন। প্রতিপক্ষ দলের কাউকে স্লেজিং করতে গিয়ে নিষিদ্ধ না হলেই নাকি কোহলি খুশি।


২০১৭ সালে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার বেঙ্গালুরু টেস্টের কথা। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথকে ভেংচি কেটে আলোচনায় আসেন ইশান্ত। ঘটনার বর্ণনায় ইশান্ত বলেন, 'আমরা এর আগে পুনে টেস্ট হেরেছিলাম। সিরিজও হারতে পারতাম। স্মিথ কত কিছুই না করছিল উইকেটে। আর বেঙ্গালুরুর উইকেট ছিল উঁচু-নিচু। আমি অনেক কিছু চেষ্টা করেও তাঁকে আউট করতে পারছিলাম না। তাই চেষ্টা করেছিলাম ওকে রাগিয়ে দেওয়ার। স্মিথের ব্যাটিং ভাবনার দুনিয়া থেকে তাঁকে বের করে আনতে চেয়েছিলাম।'


সেদিন ইশান্তকে কোহলি কী বলেছিলেন তা এখনো মনে আছে ভারতীয় ফাস্ট বোলারের, 'সে আক্রমণাত্মক অধিনায়ক। আপনি আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখালে কোহলি কিছুই বলে না। সে সব সময় বলে, আমাকে উইকেট এনে দাও আর যা ইচ্ছে কর। কিন্তু নিষিদ্ধ হওয়া যাবে না।'
ইশান্তের আবার মাঠের আচরনের কারণে নিষিদ্ধ হওয়ার রেকর্ড আছে। ২০১৫ সালে শ্রীলঙ্কার দিনেশ চান্দিমালের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ইশান্ত। একই ঘটনা আরেকবার দেখতে চান না কোহলি।