ম্যাকডোনাল্ড এখন 'বার্গার কিং'

ক্লাবের পৃষ্ঠপোষকের নাম নিজের পিঠে লাগিয়েছেন জোনাথন ম্যাকডোনাল্ড। ছবি: টুইটার
ক্লাবের পৃষ্ঠপোষকের নাম নিজের পিঠে লাগিয়েছেন জোনাথন ম্যাকডোনাল্ড। ছবি: টুইটার
>বিপনন কৌশলের এক অনন্য উদাহরণ দেখালেন কোস্টারিকার স্ট্রাইকার জোনাথান ম্যাকডোনাল্ড

তাঁর উপনামের সঙ্গে বিশ্বখ্যাত এক ফাস্ট ফুড চেইনের মিল রয়েছে। কিন্তু তাতে কী? জোনাথান ম্যাকডোনাল্ড তো নিজে ম্যাকডোনাল্ডস এর প্রধান প্রতিপক্ষ বার্গার কিংয়ের ভক্ত! তার ওপর ম্যাকডোনাল্ডের ক্লাব আলেহুয়েলেন্সের অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক এই বার্গার কিং। দুইয়ে মিলে বিশ্বখ্যাত এই বার্গার শপের বৈচিত্র্যময় 'মার্কেটিং' করে দিয়েছেন এই ম্যাকডোনাল্ড!


কী সেটা? ভোজবাজির মতো নিজের নামটাই 'পাল্টে' ফেলেছেন কোস্টারিকা জাতীয় দলের এই স্ট্রাইকার!

সেদিন দেপোর্তিভো সাপ্রিসার বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল ম্যাকডোনাল্ডের ক্লাব আলেহুয়েলেন্সে। প্রথমে মাঠে না নামলেও ম্যাচের শেষ সতেরো মিনিটে জোনাথান ময়ার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন ম্যাকডোনাল্ড। আর মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গেই বিচিত্র এক জিনিস দেখা যায়।

এতকাল জার্সির পেছনে ম্যাকডোনাল্ড নাম নিয়ে খেলতেন জাতীয় দলের হয়ে ২০১১ সালে অভিষিক্ত এই স্ট্রাইকার। তবে সেদিন ছিল ব্যতিক্রম। সেদিন পেছনে নিজের নাম বদলে 'বার্গার কিং' করে ফেলেছিলেন ম্যাকডোনাল্ড। বাকী ম্যাচটা এই বিচিত্র নামের জার্সি পরেই খেলেন কোস্টারিকার হয়ে ১২ ম্যাচে এক গোল করা এই স্ট্রাইকার।

মাঠে নেমে যদিও ক্লাবের ভাগ্য বদল করতে পারেননি তেমন। উল্টো ম্যাকডোনাল্ড মাঠে নামার পর ৮৪ মিনিটে উল্টো সাপ্রিসা এক গোল দিয়ে ম্যাচের স্কোরলাইন ২-২ করে দেয়। ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ম্যাকডোনাল্ডদের। কিন্তু তাতে কী? 'বার্গার কিং'য়ের পক্ষে প্রচারণা চালানো তো হয়ে গেছে ততক্ষণে!
বিশ্বের প্রধানতম দুই ফাস্ট ফুড চেইন মানা হয় ম্যাকডোনাল্ডস ও বার্গার কিংকে। যেখানে ১২০টি দেশে ৩৬ হাজারেরও বেশি রেঁস্তোরা আছে ম্যাকডোনাল্ডসের, বার্গার কিংয়ের ব্যবসায়িক ব্যাপ্তি শতাধিক দেশের ১৮ সহস্রাধিক রেঁস্তোরায়। পাল্টাপাল্টি খোঁচা মারা মজাদার বিজ্ঞাপনী প্রচারণার জন্য সিদ্ধহস্ত দুই পক্ষই।

দেখা যাক, জবাবে ম্যাকডোনাল্ডস কেমন বিজ্ঞাপনী কৌশলের আশ্রয় নেয়!