মন্ত্রী বললেন, তারপর...

দুর্নীতির অভিযোগ যেন লঙ্কান ক্রিকেটের পিছুই ছাড়ছে না। ছবি: এএফপি
দুর্নীতির অভিযোগ যেন লঙ্কান ক্রিকেটের পিছুই ছাড়ছে না। ছবি: এএফপি

শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড হয়তো খবরটা এভাবে জানাতে চায়নি। এসব খবর কে-ই বা জানাতে চায়! আইসিসি তদন্ত করছে, তদন্ত তদন্তের মতো চলবে, তারপর কোনো সিদ্ধান্ত এলে তখন না হয় জানানো যাবে – এমনই তো থাকে ভাবনা। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বর্তমান ক্রীড়া মন্ত্রী দুলাস আহাপ্পেরুমার এক বক্তব্য থেকেই খবরটা জানাজানি হয়ে গেল। খবরটা এই, শ্রীলঙ্কার সাবেক তিন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করছে আইসিসি।

কদিন আগে আহাপ্পেরুমা সংবাদমাধ্যমে বলেন, বর্তমান দলের কয়েকজনের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের তদন্ত করছে আইসিসি। কিন্তু এসএলসি সেটির প্রেক্ষিতে এক বিবৃতিতে আজ লিখেছে, ‘মাননীয় ক্রীড়ামন্ত্রী যে তদন্তের কথা বলছেন সেটি আসলে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট পরিচালনা করছে সাবেক তিন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে, বর্তমান দলের কারও বিরুদ্ধে নয়।’

সেই তিন ক্রিকেটারের নাম বলেনি এসএলসি। আইসিসিও চলমান তদন্ত নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে দুর্নীতির তদন্তের মধ্যে ২০১৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক টেস্টে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আছে বলে জানাচ্ছে সংবাদসংস্থা এএফপি।

এত করেও যেন দুর্নীতি থেকে নিজেদের দূরেই রাখতে পারছে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট। সনথ জয়াসুরিয়া, নুয়ান জয়সার পর দুবছর আগে দিলহারা লোকুহেত্তিগে ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকা বা ফিক্সিংয়ের তদন্তে সহায়তা না করার অভিযোগে নিষিদ্ধ হয়েছেন। সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো একবার বলেছিলেন, শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের আগাগোড়াই দুর্নীতি। লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) সাবেক সভাপতি থিলাঙ্গা সুমাথিপালার পরিবারের বাজিকর প্রতিষ্ঠান ছিল। গত নভেম্বরে তাই দুর্নীতি, ম্যাচ ফিক্সিং আর বাজি ধরার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি রেখে আইন প্রণয়ন করে শ্রীলঙ্কা। পরিবারের কারও সঙ্গে বাজিকর প্রতিষ্ঠানের কোনো যোগ আছে, এমন কেউ বোর্ডে আসতে পারবে না বলেও নিয়ম করেছে।

কিন্তু এত করেও দুর্নীতির অভিযোগ যদি থামে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে‍!